
ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুর শহরে একটি বাস ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভোর রাতে ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে এবং গতকাল রবিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ধলার মোড় এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
দুটি ঘটনাই নাশকতামূলক বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।
পুলিশ জানায়, সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর দিকে টার্মিনালের পেছনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকা সাউদিয়া পরিবনের ৫২ আসনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় বাসের আসনগুলো।
ওই সময় ওই বাসের ভেতর সহযোগী বাঁকা মাতুব্বর (৪৫) ঘুমাচ্ছিলেন। ধোয়ায় তার ঘুম ভেঙে বাস থেকে বেরিয়ে আসেন।
বাঁকা বলেন, আমি বাসের সামনের দিকে কয়েল জ্বলিয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। ঘুম ভেঙে উঠে দেখতে পাই বাসের পিছনে আগুন জ্বলছে। আমি দ্রুত বাসের সামনের দিকের দরজা খুলে বের হয়ে আসি। অল্প সময়ের মধ্যে পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। আগুনে বাসের ভেতরের অংশ পুড়ে যায়।
বাসের আগুন নেভাতে অংশ নেওয়া ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার আকতার হোসেন বলেন, বাসের ভেতরের সিট পুরোটা পুড়ে গেছে। এক ঘণ্টার চেষ্টায় ভোর ৫টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হই।
এর আগে গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরতলীর ধলার মোড় এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ট্রাকচালক মাহবুবুর রহমান জানান, ট্রাকটি তার বাড়ির সামনে রেখে নামাজ পড়তে যান। নামাজ পরে এসে তিনি ট্রাকের সামনের দরজা খোলা অবস্থায় পান এবং ট্রাকের সামনে আগুন জ্বলতে দেখেন। পরে খুব দ্রুত স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আগুনে ট্রাকের সামনের অংশ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তিনি দাবি করেন, দাঁড়িয়ে থাকা আমার ট্রাকটিতে কেউ পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে তার প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, বাস-ট্রাকে আগুন দিয়ে কেউ ছাড় পাবে না। আমরা যেভাবেই হোক তাদের ধরে ফেলব। শুধুমাত্র একটু সময়ের অপেক্ষা।