‘বিষাদ সিন্ধু’ রচয়িতা কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৬ তম জন্মবার্ষিকী আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর)।

প্রতিবছর তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটায় দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বিকেলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা দুইদিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন এবং আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ অনুষ্ঠানের সমাপনীতে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি।

আলোচনাসভা শেষে কুমারখালী বিজয় নাট্যগোষ্ঠির পরিবেশনায় মীরের লেখা জমিদার দর্পণ নাটক মঞ্চস্থ হবে।

সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন কুমারখালির লাহিনীপাড়া গ্রামে ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন। তার মায়ের নাম দৌলতুন্নেসা। মীর মশাররফ জগনমোহন নন্দীর পাঠশালায় পড়াশুনা করেন। এরপর তিনি কুমারখালির এমএন হাই স্কুল, কুষ্টিয়া হাই স্কুল ও রাজবাড়ী জেলার পদমদী হাই স্কুলে কিছুদিন পড়াশুনা করেন।

১৮৬০ সালে মীর মশাররফের মা দৌলতুন্নেসা মারা যান। সেই সময় মীরের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এ বয়সেই তিনি সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই তিনি উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক প্রায় ৩৫টি বই রচনা করে গেছেন। এরমধ্যে রত্নাবতী, গৌরী সেতু, বসন্তকুমারী, নাটক জমিদার দর্পণ, সঙ্গীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদীনার গৌরব, বিষাদসিন্ধু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সাহিত্য রচনার পাশাপাশি তিনি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছিলেন। প্রথমে তিনি কাঙাল হরিণাথ মজুমদারের সাপ্তাহিক গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকা ও কবি ঈশ্বরগুপ্তের সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেন। এরপর ১৮৮০ সালে তিনি লাহিনীপাড়া ‘হিতকরী’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশ করেন।