পাতানো নির্বাচনে যাবে না ইসলামী আন্দোলন: চরমোনাই পীর

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:০৬

বক্তব্য রাখছেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেছেন, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দেবে না ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম (রহ.) কখনও অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেনি। যত বড় বাধার পাহাড় নেমে আসুক না কেন সত্যের পথ থেকে তিনি কখনও বিচ্যুত হননি। আমরাও অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপস করবো না ইনশাআল্লাহ।
চরমোনাই বাৎসরিক মাহফিলে আজ শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।
এসময় তিনি আরো বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। আমাদের স্লোগান হচ্ছে সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। তাই সাহাবাদের চরিত্রে মানব জীবন গঠন করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে কখনও দূরে সরা যাবে না।
ছাত্র গণজমায়েতের বিশেষ অতিথি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, অন্যান্য সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদানের পূর্বের যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয় কে কত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত, কে কেন্দ্র দখল করতে পারবে, চাঁদাবাজি ও মাদকের সাম্রাজ্য গঠন করতে পারবে কিন্তু ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্ব প্রদানের পূর্বে যাচাই করা হয় জ্ঞান এবং সৎকর্ম। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সব সময় আদর্শিক নৈতিক শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নে সচেতন ভূমিকা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সমাজসেবা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছে তারা।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, সংসদ নির্বাচনে নায়ক, গায়ক ও খেলোয়াড়দের নমিনেশন দিয়ে জাতীয় সংসদকে তামাশার মঞ্চে পরিণত করেছে জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী সরকার। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করার যে পাঁয়তারা তা ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই সহ্য করবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার সাকি, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মানসুর আহমাদ সাকী ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ- এর সহ-সভাপতি নূরুল বশর আজিজী।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ৮টায় আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।