সমাজকল্যাণমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৯ গুণ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:৩২

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের দশম জাতীয় নির্বাচন এবং এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী ১০ বছরে তার আয় বেড়েছে ৫ গুণ। আর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৯ গুণ।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুজ্জামান আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে জমা দেওয়া তার হলফনামায় দেখিয়েছিলেন, অস্থাবর সম্পদ সাড়ে ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিকসামগ্রী ও আসবাবপত্র। এরপর ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হন।
টানা দুই বার সংসদ সদস্য থাকার পর এবারও একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। এবার জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তার এক দশকের ব্যবধানে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮৬ হাজার ৫০০ থেকে বেড়ে ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকারও বেশি হয়েছে। তবে ঘরে আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকসামগ্রী ১০ বছর আগে যা ছিল তাই দেখিয়েছেন তিনি।
কিন্তু অস্থাবর সম্পত্তি বাড়লেও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর স্থাবর সম্পদের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে তিনি স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন, ২৫ বিঘা কৃষিজমি, ২০ শতক অকৃষিজমি, ৩৭ লাখ টাকার দালান ও ৩৫ বিঘা জমির মাছের খামার। এবারের হলফনামায় তিনি কৃষি ও অকৃষিজমি এবং মাছের খামার আগের মতোই দেখিয়েছেন। তবে ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের ওই দালান না দেখিয়ে ঢাকায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্লট দেখিয়েছেন।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যে, নুরুজ্জামানের বর্তমানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য প্রায় ৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। যা এক দশক আগে ছিল মাত্র ৪৬ লাখ টাকা। ব্যবধান অনুযায়ী ১০ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৯ গুণ। আর বার্ষিক আয় বেড়েছে ৫ গুণ।
২০১৩ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ টাকা। কৃষি, ঘরভাড়া, ব্যবসা, সম্মানী ও মৎস্য খামার থেকে তার এসব আয় আসতো। ২০২৩ সালের হলফনামার তথ্যে, তার আয়ের খাত কৃষি, ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী অর্থ দেখিয়েছেন। এসব খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ৩২ লাখ টাকার বেশি। সে অনুপাতে তার বার্ষিক আয় বেড়ে হয়েছে ৫ গুণেরও বেশি।
এছাড়াও হলফনামার তথ্যে, প্রথমবার ২০১৩ সালে তার স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। তখন তার স্ত্রীর ৩২ হাজার টাকার অলংকার দেখিয়েছিলেন কিন্তু এবার তা দেখাননি।