Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

চুয়াডাঙ্গায় হাড়কাঁপানো শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন

Icon

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:১২

চুয়াডাঙ্গায় হাড়কাঁপানো শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন

শীতে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। এ জেলায় দিন দিন শীতের মাত্রা বেড়েই চলেছে।

আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

গত রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। ওই দিন সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র আকারের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলের। শহরের চা বিক্রেতা ফরজ আলী বলেন, খুব ভোরে চায়ের দোকান খুলতে হয়। কিন্তু ক’দিন থেকে প্রচণ্ড শীতের কারণে চায়ের দোকান খোলা দুরূহ হচ্ছে। তাছাড়া শহরে লোকজনের চলাচল কম থাকায় চা বিক্রি কমে গেছে। অভিন্ন কথা বলেন, রিকশাওয়ালা শুকুর আলী, তিনি আরো বলেন, শীতের কারণে আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের তথ্য মতে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ১৭ হাজার ৬৫০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ কম্বলগুলো বিতরণের জন্য সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৬ হাজার ৫৬৫টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি ও জীবননগর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি বরাদ্দ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা প্রশাসন কম্বলগুলো বিতরণের জন্য নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫