বরিশাল-৪ আসন
শাম্মী বাতিলের খবরে পংকজ শিবিরে স্বস্তি

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:১২

ড. শাম্মী আহমেদ ও পংকজ নাথ। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
প্রার্থিতা টিকিয়ে রাখতে শেষ চেষ্টায়ও ব্যর্থ হয়েছেন বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। নির্বাচন কমিশনের বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। ফলে হতাশার ছাপ পড়েছে শাম্মীর অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
তবে একই কারণে আনন্দিত আওয়ামী লীগের অপর একটি অংশ। যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। নির্বাচন থেকে শাম্মী আহম্মেদের ছিটকে পড়ার খবরে খুশি তারা। তাদের মতে নৌকা না থাকায় পংকজ নাথের বিজয় অনেকটাই নিশ্চিত।
জানা গেছে, দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন তিনি। কিন্তু সেখানেও তার মনোনয়ন বাতিল হয়।
সবশেষ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন তিনি। কিন্তু ড. শাম্মী আহম্মেদের করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
খবর ছড়িয়ে পড়লে একদিকে উল্লাস আর একদিকে নীরবতায় ছেয়ে যায় হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দুই শিবিরে। বিএনপি না এলেও দলীয় আর স্বতন্ত্র প্রার্থির লড়াই জমে উঠেছিল বরিশাল-৪ আসনে।
এতে ভোটের আগেই জমে যায় এই আসনের নির্বাচনী লড়াই। এরই মধ্যে ভোটের মাঠে একে অপরকে হটানোর লড়াইয়ে নামেন ২ নেতা। শাম্মীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ পড়ে নির্বাচন কমিশনে। পংকজ নাথের বিরুদ্ধেও হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের পালটা অভিযোগ করা হয়। তথ্যনুসন্ধান শেষে ড. শাম্মীর মনোনয়ন বাতিল করে ইসি ট্রাইব্যুনাল। এ খবরে উল্লসিত হয়ে পড়েন পংকজ অনুসারীরা।
পংকজ অনুসারী হিজলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন ঢালী বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। বাংলাদেশের খেয়ে-পরে বিদেশি নাগরিক হওয়া কেউ আমাদের নেতৃত্ব দেবেন সেটা কোনোভাবেই মানা যায় না।
অন্যদিকে শাম্মী অনুসারী হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু সিকদার বলেন, একটু যে হতাশ হইনি তা নয়। শাম্মী আপা থাকলে সত্যিকারের জনপ্রিয়তা যাচাই হতো।