উচ্চ আদালতের নির্দেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে ‘ঈগল’ প্রতীক দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে উচ্চ আদালতের নির্দেশ চেম্বার জজ আদালতে স্থগিত হওয়ার আগেই তাকে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

তবে চেম্বার জজ আদালতের স্থগিতাদেশ হাতে পেলে সাদিক আবদুল্লাহর বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।

সকালে সাদিক আবদুল্লার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নির্বাচনী প্রতীক গ্রহণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর। 

তিনি বলেন, উচ্চ আদালত সাদিক আবদুল্লার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। এজন্য আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে নির্বাচনী প্রতীক ‘ঈগল’ বুঝে নিয়েছি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে বাতিল হওয়া সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতার বৈধতা দিয়েছে উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার সকালে উচ্চ আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়ে সাদিক আবদুল্লাহকে তার পছন্দের ‘ঈগল’ প্রতীক দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চেম্বার জজ আদালতে স্বতন্ত্র প্রার্থির স্থগিতাদেশের বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে এখনো আদালতের নতুন আদেশের কপি আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। আদালতের কপি হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত রবিবার বরিশাল সদর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন। পরদিন সোমসার উচ্চ আদালত তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন।

পরে উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার জজ আদালতে আপিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তা স্থগিতের আদেশ দেন।

এদিন সাদিক আবদুল্লার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাদের প্রতিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, চেম্বার আদালত মানে আপিল বিভাগ। এখানে বাতিল হলে তিনি বাতিলই হবেন। আর করার কিছু নেই।

তবে সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চেম্বার আদালত বাতিল করেছেন, তাই আমরা নিয়মিত লিভ টু আপিল করেছি। আগামী ২১ ডিসেম্বর আপিলের শুনানি হবে। আমরা আশাবাদী সাদিক আবদুল্লাহ্ পূণরায় প্রার্থিতা ফিরে পাবেন।