
আহসান হাবিব খান। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
সাংবাদিকের ক্যামেরা কেউ ভাংচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার (ইসি) অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাংচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। আমরা সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব এবং সহযোগী হিসেবে রাখার জন্য সব সুযোগ রেখেছি। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবেন সাংবাদিকরা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কী হতে পারে? সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবেন।
তিনি বলেন, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট দেবেন, সেই পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে এবং টহল দেবে। অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কেউ ঝামেলা করলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনো ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকীবসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।