সরিষাবাড়ীতে থানা হাজতে আসামির রহস্যজনক মৃত্যু

জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৪৬

সরিষাবাড়ী থানা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানা হাজতে আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
নিহত আনোয়ার উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা গ্রামের আব্দুস সামাদ দুলুর ছেলে।
ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। তবে হার্টস্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার সরিষাবাড়ী থানার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে নিজ গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। মধ্যরাতে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদি হাসান জানান, আনোয়ারকে হাসপাতালে আনার পর অক্সিজেন দেয়া হয় এবং ইসিজি করা হয়। পরীক্ষা-নীরিক্ষায় পর তাকে জীবিত পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমানের মুঠোফোনে জানান, আনোয়ারকে থানায় আনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
এদিকে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ পরিবারের। আনোয়ারের বাবা আব্দুস সামাদ দুলু অভিযোগ করে জানান, মারামারি সংক্রান্ত একটি মামলায় তার ছেলে আসামি ছিল। বিকেল ৩টার দিকে বাদির উপস্থিতিতে চাপারকোনা বাজার থেকে তার ছেলেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের নির্যাতনে তার ছেলে মারা গেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
নিহতের স্ত্রী আলপনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সুস্থ মানুষ ধরে নিয়ে গেছে। থানায় নেওয়ার পর সর্বশেষ সন্ধ্যায় তার সাথে কথা হয়, তখনও আমার স্বামী ভালো ছিলেন। রাত ১২টায় হঠাৎ খবর আসে আমার স্বামী স্ট্রোক করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুর রহমান জানান, দোলভিটি গ্রামের ফিরোজ মিয়ার সাথে গত ১০ ডিসেম্বর চাপারকোনা বাজারে আনোয়ার হোসেনের মারামারি হয়। এ ঘটনায় ফিরোজের ভাই সোহেল রানা বাদি হয়ে ২৫ ডিসেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মঙ্গলবার বিকেলে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়, রাত ১২টার দিকে তিনি স্ট্রোক করেন।
তবে পরিবারের অভিযোগটি সঠিক নয়, দাবি করে তিনি বলেন, আনোয়ারকে হাসপাতালে নেয়ার সময় পরিবারের লোকজন সাথেই ছিলেন।