ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে আশুলিয়া থানা থেকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

এর আগে, রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাতে মনির হোসেন নামে আহত এক ব্যক্তি আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তাররা হলেন- আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার জাহিদ ভূইয়া (২৫), রাসেল কমান্ডার (৩২) ও জনি দেওয়ান (৩০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা গত ৩-৪ দিন ধরে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর হাজী বাড়ি কাঁচা বাজার সংলগ্ন জান্নাত সুপার মার্কেটে অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ দিচ্ছিলেন। ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ জলিল উদ্দিন ও রাজন ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে কার্যালয়ে এসে চেয়ার টেবিল, থাই গ্লাস ও একটি এলইডি টিভি ভাঙচুর করেন।

একই রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেটে দেওয়ান বাড়ির সামনে ট্রাক মার্কার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেন। ট্রাক মার্কার পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। খবর পেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়ে যান।

হামলার ঘটনায় অন্তত ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা আমার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ঘোষবাগ এলাকায় ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন। আমাদের কর্মীরা সেখানে গেলে তাদের কুপিয়ে আহত করেছেন। আমার তিনটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছেন। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় ক্ষমতা ব্যবহার করে তার কর্মীদের দিয়ে এই হামলা করিয়েছেন। আমি নির্বাচন কমিশন ও থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবো।

এ বিষয়ে আশুলিয়ার উপপরিদর্শক (এস আই) শেখ আবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।