হবিগঞ্জে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩১

স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহেদ এবং হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া গ্রামে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন গাজী মোহাম্মদ শাহেদ।
এসময় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গাজী মোহাম্মদ জাফর ছাদেক কয়েছসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গাজী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে মনোনয়ন দাখিল করি। পরবর্তীতে আমার মনোনয়ন বৈধ হয় ও আমাকে ট্রাক প্রতীক দেওয়া হয়। আমিও আমার নির্বাচন কার্যক্রম শুরু করি। তবে শারীরিক অসুস্থতায় আমার বড় ভাইয়ের মেয়ে, আমার এক ভাই ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মামা মৃত্যুবরণ করায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে আমার পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
তিনি বলেন, শুরু থেকে নবীগঞ্জ-বাহুবলবাসী আমার ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, আমি ও আমার পরিবার আপনাদের কাছে চিরঋণী। আমার পিতা জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নবীগঞ্জ-বাহুবল তথা দিনারপুর পরগনাবাসীর পাশে ছিলেন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।
এদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শংকর পালও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
শংকর পাল বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব রয়েছে। আছে ক্ষমতাসীনদের পেশিশক্তির প্রভাব। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে সংঘর্ষ-সংঘাত চলছে তাতে নিজের ও সমর্থকদের জানমাল রক্ষা করা কঠিন।
তিনি বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ ও তার গড়া জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসি বলে এখনো দল করি। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থিত পোস্টার ছাপিয়ে ভোট চাওয়ার লোক আমি নই। তাহলে দলের অবস্থান কোথায় থাকলো? আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, গত নির্বাচনে আমার এজেন্টকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই দোকান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এর জবাব আজও পাইনি। এবারের নির্বাচনেও যে তা হবে না এর নিশ্চিয়তা কোথায়?
শংকর পাল বলেন, সম্প্রতি হবিগঞ্জে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছি- নির্বাচন করতে প্রার্থী হইনি। সাক্ষী হয়ে দেখতে চাই আপনারা কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করছেন। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো।