তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস। ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা আরো কমেছে। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রয়েছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস।
এদিন সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে রাতে তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। পথ চলতে যানবাহনকে ব্যবহার করতে হচ্ছে হেড লাইট।
দুদিন ধরে হিমেল বাতাসের কারণে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার বাসিন্দারা। আর রাতে টিনের চালে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। অন্যদিকে তীব্র ঠান্ডায় সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা।
কুড়িগ্রামের স্থানীয় হাট বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পরপরই সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। দোকানিরাও বন্ধ করে ফেলছেন আগে আগেই।
হাফিজ নামের মোটরসাইকেল গ্যারেজের এক মালিক জানান, তার দোকানে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল মেরামতসহ অন্যান্য কাজ করাতে নিয়ে আসে। তবে এই শীতে ১০টিও আসছে না।
দিনমজুর হাসেম আলী জানায়, গতকাল থেকে কাজে যেতে পারছি না। যেরকম ঠান্ডা পড়েছে এতে কাজ করা খুবই কষ্টকর হয়ে গেছে। তবুও জীবন বাঁচাতে কাজে যেতেই হবে।
অটোচালক সাইফুর জানান, ঠান্ডাতে হাত পাও বরফ হয়ে আসছে। তবুও পেটের তাগিদে কাজে বের হলেও কোন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
গৃহীনি ছকিনা বেগম জানান, প্রচণ্ড ঠান্ডা হলেও পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র নেই তার। তাই তিনি সমাজের হৃদয়বান বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন থেকে এ বছরের শীতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।