Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

আওয়ামী লীগের জনসভায় চেয়ার ফাঁকা, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

Icon

পুঠিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৬

আওয়ামী লীগের জনসভায় চেয়ার ফাঁকা, নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি

রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলের এ সভায় লোক উপস্থিত করতে না পারায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের।

জনসভায় সামনের চেয়ারগুলো পরিপূর্ণ থাকলেও মাঝখান থেকে শুরু করে শেষের অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা ছিল। ফলে প্রায় ১০ হাজার চেয়ার রাখা হলেও সেখানে সর্বোচ্চ ৫ হাজারের মতো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেন নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দারা এবং ডাবলুর ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়।

দারা-ডাবলুকে জনসভার সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা ঠিকমতো সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বলে দাবি করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  আহসানুল হক মাসুদ। তিনি বলেন, দারার জনসমর্থন না থাকার কারণেও অনেকেই যাননি বলে মনে হয়েছে আমাদের কাছে। তিনি নৌকা প্রতীক পেলেও জনসমর্থন হারিয়ে ধুঁকছেন। সে কারণে তার নির্বাচনী এলাকা হলেও এতো কম সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদেরকে ছোট করা হয়েছে।

এদিকে পবা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ডাবলু সরকারও হলেন নানা কাণ্ডে বিতর্কিত। আবার দারার জনসমর্থন নাই। ফলে তারা দুজনই নেতাকর্মীদের জনসভায় আনার পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্যান্ডেল তৈরি ছাড়া তেমন কোনো কাজই করতে পারেননি। যে কারণে চেয়ার থাকলেও উপস্থিতি অনেক কম হয়েছে।


দুর্গাপুরের আওয়ামী লীগের এক কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেশজুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এর আগে রাজশাহীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতবার এসেছেন, তার জনসভায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু রাজশাহীর ছয়জন এমপি প্রার্থীর উপস্থিতিতে জনসভা অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে ১০ হাজার নেতাকর্মীও উপস্থিত করতে পারেননি তারা। এটি রাজশাহীর নৌকার প্রার্থীদের ব্যর্থতা। বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকা হওয়া সত্ত্বেও পুঠিয়া দুর্গাপুর থেকে ১০ হাজার মানুষও উপস্থিত করতে না পারার ব্যর্থতা দারাকেই নিতে হবে।

বানেশ্বরের নামাজগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আজগর আলী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য জনসভায় এসেছি। কোনো নেতাকর্মী আমাকে আসতে বলেননি। তার পরেও আমি এসেছি প্রধানমন্ত্রীকে ভার্চয়ালি হলেও দেখবো। শেখ হাসিনার প্রতি দেশের কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা আছে। আমরা তাকে ভালোবাসি। তার জন্য দেশটা টিকে আছে। তিনিই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কাজেই কে নৌকা পেলো কে পেলো না সেটা বড় কথা নয়। আমরা যাকে যোগ্য মনে করবো তাকে ভোট দিব। মানুষ ভোট দিতে যাবে।উৎসবমুখোর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। শেষও হবে। আজকের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিও আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫