
মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়, কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের একাডেমিক ভবন ও বায়তুল মুসা হাফেজিয়া মাদ্রাসা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়
জাহেদী পরিবার মনে করে সমাজের সবার যথাযথ শিক্ষা ও কর্ম করার অধিকার রয়েছে। সেই বিশ্বাসেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করে তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই জাহেদী পরিবার বিদ্যালয়টিতে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। বর্তমানে শহরের কবি গোলাম মোস্তফা সড়কে মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (মহুল) এর মালিকানাধীন ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবনে অত্যাধুনিক আইসিটি ল্যাব, সমৃদ্ধ ফিজিওথেরাপি ল্যাব, স্পীচ ও অকুপেশনাল থেরাপি ল্যাব, সেন্সরি ল্যাব সহ শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধায় সুসজ্জিত উক্ত বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আরো জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে ৩,৫০০ এর অধিক বিশেষ প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি ও শিখন উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে। তিনি বিদ্যালয়টির নামে ১৫ শতক জমি দান করেন এবং উক্ত জমিতে একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি স্কুল পিকআপ ভ্যান প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টির ২০ জন সু-প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও কর্মকর্তার নিয়মিত মাসিক বেতন ভাতা প্রদান করছে জাহেদী পরিবার। এছাড়াও শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। বিদ্যালয়টি বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলার প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের জন্য বিশেষ আশার প্রদীপ।
এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে ঈগল পাখি মার্কা প্রতীক নিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. নাসের শহারিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, বিশেষ শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষাগ্রহণ করছে। বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়েও সুনাম অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার ফলে একজন শিশু চিত্রাঙ্কণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে জাতীয়ভাবে পুরষ্কার, ২ জন শিক্ষার্থী জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণপদক ও ব্রোঞ্জ পদক লাভ করার গৌরব অর্জন করে। যা ঝিনাইদহবাসীর জন্য এক অনন্য গৌরব বয়ে এনেছে।
একাডেমিক ভবন নির্মাণ
শিক্ষার মানোন্নয়নে ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে কাঞ্চননগর মডেল স্কুল এন্ড কলেজে জাহেদী পরিবারের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে একটি তিনতলা ভবন।
জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। একই বিদ্যালয়ের অন্য একটি ভবনের তিনতলায় ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক হল নির্মাণ করে দেয় জাহেদী পরিবার। এটি উদ্বোধন করেছিলেন মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের বাবা মরহুম মো. জাহিদ হোসেন মুসা।

বাবার আদর্শ অনুসরণ করে ঝিনাইদহবাসীর উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।
ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুন্ডু) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, যা কিছু অর্জন করবে, তা প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলে মনে করবে সেটা অন্যের।
তিনি আরও বলেন, সব সময় শিক্ষার্থীদের জীবনে সাফল্যের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ, সেই লক্ষ্যে আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং শৃঙ্খলাবোধ থাকতে হবে।
বায়তুল মুসা হাফেজিয়া মাদ্রাসা
শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ঝিনাইদহে একটি মানসম্পন্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেয় ঝিনাইদহের জাহেদী পরিবার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২ মে বায়তুল মুসা হাফেজিয়া মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
শহরের ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া সড়কের পাশে এ মাদ্রাসার ভিত্তি ফলক উন্মোচন করা হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ভাষা সৈনিক মরহুম মো. জাহিদ হোসেন মুসার সহধর্মিণী নূরুন্নাহার জিন্নাতুল।

এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ-২ (সদর-হরিণাকুন্ডু) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, আধুনিক কারিকুলামের সমন্বয়ে উক্ত মাদ্রাসায় হাফেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। মাদ্রাসাটিকে ঝিনাইদহের অন্যতম আধুনিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে বর্তমানে ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করার উদ্দেশ্যে মাসিক ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
সবশেষ তিনি বলেন, শুধু ইসলাম ধর্মই নয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সকল ধর্মীয় উৎসবেও নিয়মিত আন্তরিকতার সাথে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে জাহেদী পরিবারের পক্ষ থেকে।