যশোরে ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৪টিতে নৌকা এবং ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিমন্ত্রী দুইজনেই নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হয়েছেন।

যশোর-১ (শার্শা) আসনে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৬ জন। বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯০২ ভোট। এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন শেখ আফিল উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪৭৭ ভোট। তিনি সকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বয়কট করেন। 

যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম মনির পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮২ ভোট। এছাড়া এ আসনে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমান ২২২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল ১ হাজার ২৪৫, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী প্রার্থী ফিরোজ শাহ ১ হাজার ৯৫০ ও টেলিভিশন প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী শামছুল হক ১ হাজার ২০০ ভোট পেয়েছেন।

যশোর-৩ (সদর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ২১ হাজার ৭২০ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মোহিত কুমার নাথ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৫১১ ভোট। এছাড়া এ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান ১ হাজার ২৪৬, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান ৩৮৯, বিকল্পধারা বাংলাদেশের কুলা প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হাসান কাজল ৫৫৫, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের মাহবুব আলম ৩ হাজার ৭১০, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী নোঙ্গর প্রতীকের শেখ নুরুজ্জামান ২২৪ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী সুমন কুমার রায় ৬৬৩ ভোট পেয়েছেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-বসুন্দিয়া) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এনামুল হক বাবলু। তার প্রাপ্ত ভোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০৩ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোনালী আঁশ প্রতীকের এম শাব্বির আহমেদ পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৮ ভোট। এছাড়া আসনে মিনার প্রতীকের প্রার্থী ইসলামি ঐক্যজোটের ইউনুছ আলী ৩ হাজার ৮৯৫, লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহুরুল হক ৯ হাজার ৪৪২, ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায় ৫৫২, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী সুকৃতি কুমার মন্ডল ৪০১ ভোট পেয়েছেন।

যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী। তারপ্রাপ্ত ভোট ৭৭ হাজার ৪৬৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৩২ ভোট। এছাড়া এ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী এম এ হালিম ৬২৪, ইসলামি ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী ৮০৬, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা ২৩৬ ভোট পেয়েছেন।।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিজয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম। তারপ্রাপ্ত ভোট ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট। এছাড়া কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আমির হোসেন ১৭ হাজার ২০৯ ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে জিএম হাসান পেয়েছেন ৬৪০ ভোট।