পটুয়াখালীতে ১৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া পটুয়াখালীর চারটি নির্বাচনী আসনে বেসরকারি ফলাফলে জেলায় মোট ২২ জন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও জাসদসহ ১৫ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এর মধ্যে পটুয়াখালী-১ আসনে ৪ জন, পটুয়াখালী-২ আসনে ৩ জন, পটুয়াখালী-৩ আসনে-৪ জন এবং পটুয়াখালী-৪ আসনে ৪ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম।
জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মো. নূর কুতুবুল আলম জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের জামানত রক্ষা করতে হলে কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হবে। উল্লেখিত প্রার্থীরা কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকী) আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে ৮০ হাজার,৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জাপার কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এবং তার নিকটমত কংগ্রেস প্রার্থী ডাব প্রতীকে নাসির উদ্দিন পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৯২ ভোট। জাসদের মশাল প্রার্থী কেএম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া ৩২০ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রার্থী মো. খলিল ১ হাজার ২৯৮, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মুহিউদ্দীন মামুন ৩৯৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. নজরুল ইসলাম ২ হাজার ৫০৩ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকে অষ্টোম সাংসদ হিসেবে আ.স.ম ফিরোজ ১ লাখ ২৪ হাজার ২৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রার্থী মো. মহসীন হাওলাদার ২ হাজার ৯৫১ ভোট পেয়ে জামানত হারান। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রার্থী মাহবুবুল আলম ১ হাজার ২৯৫ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্টের টেলিভিশন প্রার্থী মো. জোবায়ের হোসেন ২ হাজার ২৩১ ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন। এদের মধ্যে নৌকার প্রতীকে এস.এম শাহজাদা ৮৯ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫০৮ ভোট। বাকি সব প্রার্থীদের মধ্য জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম ৩২২, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এক তারা প্রার্থী মো. নূরে আলম ১০৩, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. ছাইফুর রহমান ৪১২ এবং ন্যাশনাল ফ্রন্টের এওয়াইএম কামরুল ইসলাম ১১৯ ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে নৌকা প্রতীকে অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এবং তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট পান। জামানত বাজেয়াপ্তর তালিকায় রয়েছে- জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নান হাওলাদার ৩৫০ ভোট, জাসদের প্রার্থী বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু ২৮১, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন ২৩৩ এবং স্বতন্ত্র ট্রাক প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল-ইসলাম লিটন ৮ হাজার ৬৯৪ ভোট পান।