
ধামরাই থানা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার ধামরাইয়ে দুইটি ইটভাটায় সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর, শ্রমিকদের মারধর ও ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১৫-২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এছাড়াও দুর্বৃত্তদের ভয়ে ৪০-৫০ জন শ্রমিক পালিয়ে গেছেন।
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকায় সান ব্রিকস ও গোয়ালদী এলাকার লামিয়া ব্রিকস নামের দুইটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন থেকে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া এলাকার সান ব্রিকসে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ৩৫-৪০ জন দুর্বৃত্ত এসে ইট ভাটার কিলিনের উপর উঠে পুড়াই শ্রমিকদের মারধর করে তাদের থাকার ঘর ভাঙচুর করে ইটভাটা বন্ধ করতে বলে। এরপর ইট ভাটা চালালে শ্রমিকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর পাশের গোয়ালদী এলাকার লামীয়া ব্রিকস নামের ইট ভাটায় গিয়ে ভাটার অফিস ভাঙচুর করে। এসময় অফিসের ক্যাশের তালা ভেঙে ক্যাশে থাকা ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এছাড়াও ভাটার শ্রমিকদের মারধর করে ভাটা থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং এই ভাটায় আবার কাজ করলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
সান ব্রিকসের শ্রমিক ইয়াদ আলী সিকদার বলেন, ৩৫-৪০ জন মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ভাটার উপরে উঠে আগুন নিভায় দিছে, কয়লা ফালাই দিছে। তারপর কয়েকজনরে মারছে। আমাদের থাকার ঘরে লাঠি দিয়া বাড়ি দিছে, টিন ছিদ্র হইয়ে গেছে।
লামিয়া ব্রিকসের ম্যানেজার মো. হজরত আলী বলেন, সন্ধ্যার দিকে সান ব্রিকসের ম্যানেজার রুবেল আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে ৩০-৪০ জন লোক এসে ভাঙচুর করে, শ্রমিকদের মারধর করে, ভাটা বন্ধ করে দিয়ে গেছে। আমি দ্রুত লামিয়া ব্রিকসে এসে দেখি এই ব্রিকসেও ঢুকে ভাঙচুর করে শ্রমিকদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে গেছে। ক্যাশের তালা ভেঙে ক্যাশ থেকে ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিল সব নিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী ইট ভাটার মালিক আব্দুল লতিফ বলেন, মূলত রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা ভাঙচুর। আমি জন্ম থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছি। আমার পরিবার আত্মীয় স্বজনরা সবাই আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত। আমি বিভিন্ন সময়ে সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করি, এলাকার দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করি। মানুষ আমাকে ভালোবাসে। এতে আমার এলাকার কিছু বিএনপি- জামাতের লোকদের হিংসা হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আমার ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষতি চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভাটা শ্রমিকদের কাজ করতে বলে এসেছি এবং ভাটার মালিককে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।