নীলফামারীতে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮

যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে। ছবি: নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে কয়েক দিনের শৈতপ্রবাহ ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন।
হিমেল হাওয়ার কারণে নীলফামারীবাসী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে। গ্রামের পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষজন একটি গরম কাপড়ের আসায় তাকিয়ে আছেন বিভিন্ন এনজিও ও সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে।শীত ও ঠাণ্ডার কারণে তারা পাড়ছে না কাজে যেতে। আয় রোজগার করতে না পাড়ায় পরিবারগুলো মহাবিপদে পড়েছে।
এমন বৈরি আবহাওয়া বাড়তে থাকলে সমস্যা বাড়বে নিম্নআয়ের মানুষ। খড়কুটো আগুন জ্বালিয়ে শৈতপ্রবাহের ঠাণ্ডা নিবারণ করছেন কেউ কেউ। ঠাণ্ডায় সর্দি ও কাশি জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধের মেডিকেলে ভর্তির সংখ্যা বেশি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীলফামারী সদর পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গজেন্দ্র নাথ রায় ও ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের দিনমুজুর নির্মল চন্দ্র রায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।কথা হলে তারা বলেন, হামাড়া গরীব মানুষ, অন্যের বাড়িত কামলা দিয়া বউ ছাওয়াক বাছাই। এখন যে ঠাণ্ডা চলছে, মোটা কাপড়ো নাই, এদিকে ঠাণ্ডার কারণে কাজেও যাবার পাড়িছি না, পরিবারে ছওয়াল পওয়াল নিয়া খামোকি দিশায় পাইছি না। ঠাণ্ডা আরো বেশি দিন যদি থাকে হামার মরণ।
এদিকে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে রুগীর সংখ্যা।
নীলফামারীতে আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে এমন আবহাওয়া আরো দুই থেকে তিন দিন বাড়তে পারে। ৯৪% আর্দ্রতার কারণে মধ্যরাত থেকে দিনের দুপর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মো. লোকমান হাকিম।