গত কয়েকদিনের তুলনায় লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা কম থাকলেও হিমেল হাওয়ার কারণে শীত কমেনি। গত রাতভর পড়েছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। 

আজ সোমবার (১৫জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা না মিললেও কমে যায় কুয়াশা। তবে অব্যহত রয়েছে হিমেল হাওয়া। 

শীতে কৃষিনির্ভর তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে বিপাকে। প্রচন্ড শীতেও শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষজন বের হচ্ছেন জীবীকার সন্ধ্যানে। এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এদিকে হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় আরও বেশি শীত অনুভব হচ্ছে।

সোমবার সকাল ৯টায়  জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 এদিকে প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে দরিদ্র মানুষজন। খড় খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষজন।  প্রচন্ড শীতে বয়োবৃদ্ধ  ও শিশুরা ডায়রিয়া এবং  শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। 

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়  শীতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন,  শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ চলছে।  বরাদ্দকৃত দুই দফায় পাওয়া ২৬হাজার পিচ কম্বল বিতরণ শেষের দিকে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।