Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বাঁচানো গেলো না সেই হরিণটিকে

Icon

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৫

বাঁচানো গেলো না সেই হরিণটিকে

বিষখালী নদী থেকে উদ্ধার করা সেই হরিণ। ছবি: বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া হরিণটি মারা গেছে। গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হরিণটির মৃত্যু হয়। চিকিৎসা ও বন বিভাগের গাফিলতির কারণেই হরিণটির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার বিষখালী নদীতে ভাসমান অবস্থায় হরিণটিকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। পরে হরিণটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় হরিণটির শরীরের পিছনের বাম পায়ের উপরে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ধারণা করা হয়, হরিণটিকে কোন হিংস্র প্রাণী আক্রমণ করেছে। বন বিভাগ অসুস্থ হরিণটিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে তিন দিন চিকিৎসা শেষে গত শুক্রবার হরিণঘাটা ইকো পার্কের বনে অবমুক্ত করেন। এর তিন দিন পর গত সোমবার হরিণটি মারা যায়।

অভিযোগ উঠেছে, হরিণটিকে পুরোপুরি চিকিৎসা ও সুস্থ না করে বন বিভাগ হরিণটিকে বনে অবমুক্ত করেছেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর বলছে, হরিণটি তাদের কাছে বন বিভাগ নিয়ে আসলে তারা চিকিৎসা দেন। ব্যবস্থাপত্র দিয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পরার্মশ দেয়া হয়। এরপর অসুস্থ হরিণটিকে বন বিভাগ তাদের জিম্মায় রাখেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সংকল্প ট্রাস্টে’র নির্বাহী পরিচালক ও পর্যটন উদ্যোক্তা মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন, হরিণটি উদ্ধারের পর তিন দিন চিকিৎসা শেষে বনে অবমুক্ত করা হয়। তখনো হরিণটি পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি হরিণটিকে ভালো চিকিৎসা দেয়া হয়নি। আমাদের ধারণা চিকিৎসার অভাব ও বন বিভাগের গাফেলতির কারণে হরিণটির মৃত্যু হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, হরিণঘাটা বনাঞ্চলে হরিণ এখন ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটন কেন্দ্র ও বনের হরিণ সুরক্ষায় সরকারের দৃষ্টি দিতে হবে।

পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, কোস্টগার্ড নদী থেকে হরিণটাকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। বন বিভাগ চিকিৎসার জন্য পাথরঘাটা প্রাণী সম্পদ দপ্তরে নিয়ে যায়। কি চিকিৎসা দেয়া হয়েছে আমরা জানি না।

তিনি আরও বলেন, হরিণটি পুরো সুস্থ না হওয়ার আগেই বনে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। হরিণটি সুস্থ না হওয়ার আগে বনে ছাড়া ঠিক হয়নি। বন বিভাগের একটা বিরাট গাফেলতি এবং চিকিৎসার অভাবে এ ঘটনা ঘটেছে।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, বন বিভাগ হরিণটি আমাদের কাছে নিয়ে আসলে আমরা চিকিৎসা দিয়ে পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ছেড়ে দেয়। হরিণটি বন বিভাগ তাদের কাছেই রাখেন। হরিণটির শরীরে গুরতর জখম ছিল। ধারণা করা হয় হরিণটি হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়েছিল। 

এ বিষয়ে বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫