গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলায় চলতি মৌসুমের শুরুতেই শীতকে উপেক্ষা করে ইরি-বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এবার বাজারে আমন ধানের দাম ভালো পাওয়ায় ইরি-বোরো ধান চাষে আগে ভাগে শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করছেন জেলার কৃষকরা।

এদিকে রোপণের জন্য শ্রমিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, বাজারে  কীটনাশক ঔষধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষে বিঘা প্রতি ১ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে বলে জানান কৃষকেরা।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, জেলার ৭টি উপজেলায়  চলতি মৌসুমে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তার মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৩০৫ হেক্টর, ফুলছড়ি উপজেলায় ৮ হাজার ৩০৪ হেক্টর, সাঘাটা উপজেলায় ১৪ হাজার ৭০৪ হেক্টর, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৪ হাজার ৪০৮ হেক্টর, পলাশবাড়ী উপজেলায় ১১ হাজার ৮০৯ হেক্টর, গোবিন্দগন্জ উপজেলায় ৩১ হাজার ১০৫ হেক্টর, সুন্দরগন্জ উপজেলায় ২৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর।

সদর উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম বাবু জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমান বাজারে ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছি। এই জন্য অধিকাংশ জমিতেই ধান রোপণের জন্য চেষ্টা করছি।

সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের চকবরুল গ্রামের কৃষক আ. মতিন বলেন, গত বছর ১ বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপণ করতে সকল খরচ মিলে হয়েছিল ১২ হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা। গত বছরের তুলনায় সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ১ বিঘা জমিতে এবছর দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। কৃষি ক্ষেতে ব্যবহার করা সকল দ্রব্যের মূল্য কমানো হলে কৃষকরা আরো লাভবান হতো।

গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৫  হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে ইরি-বোরো চাষ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইরি-বোরো ধান চাষে সুষমের মাত্রায় সার দেওয়ার জন্য ও সাথে সাথে লাইন, লোগো এবং পাসিং করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।