লালমনিরহাট দুইদিন পর আবারো কমলো তাপমাত্রা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮

শীত নিবারণের চেষ্টায় দুই বৃদ্ধা। ছবি: লালমনিরহাট প্রতিনিধি
মাঝে দুই দিন ঠান্ডা কিছুটা কমলেও আবার ঠান্ডা বাড়তে শুরু করেছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশাও। কমেছে তাপমাত্রা। জেলার বিভিন্ন স্থানে কুয়াশার সাথে অব্যাহত হিমেল হাওয়ায় শীত বেড়েছে। গত রাতভর পড়েছে বৃষ্টির মতো কুয়াশা। আবহাওয়া অফিস জানালেন, দীর্ঘ হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
আজ রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১টা পর্যন্ত কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা গড়ার সাথে সাথে ঠান্ডা আরো বাড়ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতে কৃষিনির্ভর তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে বিপাকে। প্রচণ্ড শীতেও শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষজন বের হচ্ছেন জীবীকার সন্ধানে। এখন পর্যন্ত নদী চরের অনেক এলাকায় সরকারি সহায়তা পাননি বলে অনেকের অভিযোগ। এদিকে হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় আরো বেশি শীত অনুভব হচ্ছে।
এদিকে প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে দরিদ্র মানুষজন। খড় খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষজন। প্রচণ্ড শীতে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় শীতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে হাসপাতালগুলোতে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সেবা দিচ্ছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ চলছে। বরাদ্দকৃত দুই দফায় পাওয়া মোট ২৮ হাজার পিস কম্বল বিতরণ শেষের দিকে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আরো চাহিদা পাঠানো হয়েছে।