এক মৌসুমে ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করে আত্মনির্ভর রহিম

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৩

রহিম সিকদার। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কিস্তাকাঠি এলাকার যুবক রহিম সিকদার। তার বাবার সাথে ৩০০ শতাংশ জমিতে কুল চাষ করে এখন আত্মনির্ভরশীলতার পথে।
শুধু চাকরির পেছনে না ঘুরে কীভাবে নিজে আত্মনির্ভর হওয়া যায় এর জন্য তার বাবার সাথে কুল চাষ শুরু করেন তিনি। সঠিক পরিচর্যায় ভালো ফলন হওয়ায় প্রতি বছর জমির পরিমাণ বাড়িয়ে এখন উৎপাদিত কুল বাজারজাত করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
বর্তমানে তাদের দুইটি বাগানে আপেল কুল, বাউকুল, বল সুন্দরী, নারিকেল সুন্দরী, কাশ্মীরী, থাই টকসহ ছয় জাতের কুল রয়েছে।
বাগানে দাঁড়িয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে রহিম জানান, তার বাগানের কুল খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। ঝালকাঠির আশেপাশের পাইকাররা তার বাগান থেকে কুল ক্রয় করেন।
তিনি আরও জানান তার বাগানে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কোনো ক্ষতি না হলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার কুল বিক্রি করা যায়।
কাওসার নামে এক কুল ক্রেতা বলেন, আমি বরিশাল থেকে এখানে কুল ক্রয় করতে এসেছি। তাদের কুল খুবই সুস্বাদু ও দামে কম। বিগত দুই বছর ধরে এখান থেকেই কুল ক্রয় করি।
পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের ইউনিয়নে রহিম ছাড়াও অনেকেই কুল চাষ করেছে। কুল চাষ করে তারা সফল হয়েছে। তাছাড়া তাদের দেখাদেখি অনেকেই কুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে এখান থেকে কুল ক্রয় করেন। এছাড়া অনেকে বাগান দেখতে আসেন তখন কুল কিনে নিয়ে যান।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ঝালকাঠিতে কুল চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কুল চাষিদের প্রশিক্ষণ, সার, সেচ ব্যবস্থাপনাসহ উন্নত জাত সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করছে। আমরা চাষীদের উৎসাহিত করছি। কুল চাষে শিক্ষিত যুবক, তরুণ, কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়ে এই কুল চাষ করছেন। আশা করা যাচ্ছে কুল চাষের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, তেমনি আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।