Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

সেফটি ডিভাইস, লাইন কাটলেই সংকেত পাবে স্টেশন মাস্টার

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৪

সেফটি ডিভাইস, লাইন কাটলেই সংকেত পাবে স্টেশন মাস্টার

সেফটি ডিভাইস পরীক্ষা করছেন আব্দুল্লাহ আল কাফি। ছবি: নাটোর প্রতিনিধি

ট্রেন ভ্রমণ করতে সবারই ভালো লাগে তাইতো নিরাপদে ট্রেন ভ্রমণ করতে চাই সবাই। ট্রেন যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবিষ্কার করলেন সেফটি ডিভাইস।

ট্রেন যাত্রাকে অধিকাংশ মানুষ অন্য সব মাধ্যম থেকে বেশি নিরাপদ মনে করেন। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো ঘটার পর ট্রেনে ভ্রমণ পছন্দ করা মানুষের মনে জন্মেছে নানান ভয়-সংশয়। 

তেমনি ট্রেন ভ্রমণ পছন্দ করা আব্দুল্লাহ আল কাফির মনেও জন্মে এমন ভয়-সংশয়।সম্প্রতি গাজীপুরে রেললাইন কেটে ফেলার পর ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঘটনাটি তার মনে দাগ কাটে। তারপর থেকেই রেললাইন কিভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সে চিন্তায় বিভোর হয়ে থাকতেন আব্দুল্লাহ আল কাফি। 

দিনরাত গবেষণা ও চেষ্টার পর আব্দুল্লাহ আবিষ্কার করেন রেলওয়ে সেফটি ডিভাইস।

আব্দুল্লাহ আল কাফির দাবি— রেললাইন কেটে ফেলা হলে বা ভেঙ্গে গেলে তার এই যন্ত্রের সাহায্যে

সাথে সাথে স্টেশন মাস্টারের রুমে বেজে উঠবে এলার্ম। একই সাথে কল আসবে স্টেশন মাস্টারের মোবাইল ফোনে। এটি কল্পনা মনে হলেও এমনই এক যন্ত্র আবিষ্কারের দাবি করেছেন পাবনা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল কাফি। আব্দুল্লাহর দাবি মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে এই যন্ত্র স্থাপন করলে এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের নিরাপত্তা দিবে তার এই ডিভাইস।

আব্দুল্লাহ আল কাফি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর জোয়ানপুর গ্রামের কৃষক মাহবুল আলম ও পল্লব কান্তি সরদারের একমাত্র সন্তান। তিনি পাবনা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

আব্দুল্লাহ আল কাফি  জানান, সম্প্রতি গাজীপুরে রেললাইন কেটে ফেলায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তার মনে দাগ কাটে। মূলত এরপর থেকেই রেললাইনকে নিরাপদ করতে প্রযুক্তি আবিষ্কারের চিন্তা আসে তার মাথায়। এই চিন্তা থেকেই এই ডিভাইসটি তৈরি করা।

আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, ডিভাইসটি তৈরি করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছি আমি। এটার কাজ হলো স্বাভাবিক রেল লাইন কখনো যদি ফেটে যায় বা রেল আলাদা হয়ে যায় তাহলে এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত দিতে থাকবে। সেইসাথে স্টেশন মাস্টারকে কল দিবে।

তিনি বলেন, রেলওয়ে সেফটি ডিভাইসটি আমার তৈরি করতে ১০ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। তবে এটা যদি পরিপূর্ণভাবে রেলের নিরাপত্তার জন্য ব্যাবহার করতে হয় তাহলে আরেকটু বড় করে স্থাপন করতে হবে‌। সেক্ষেত্রে এটার খরচ পরবে ২০ হাজার টাকা।

আব্দুল্লাহর বাবা মাহবুব আলম জানান, সন্তানের এমন আবিষ্কারে তিনি গর্বিত। তিনি বলেন,‌ আমার ছেলের আবিষ্কার দেশের ও জনগণের কাজে লাগবে এটা ভাবতেই আমার অনেক খুশি লাগছে। 

মাধনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সদস্য (ইউপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত শনিবার আবদুল্লাহ তার আবিষ্কার নিয়ে বাড়িতে আসেন। পরদিন (রবিবার) বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে যন্ত্রটি দেখতে তার (আবদুল্লাহর) বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। রেলযাত্রাকে নিরাপদ করতে আবদুল্লাহর আবিষ্কারকৃত যন্ত্রটি সত্যিই কার্যকরী কি না। তা পরীক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

 নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান আকরামুল হক বলেছেন বিষয়টি তার জানা নেই। আজই দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে ডিভাইসটি কতটা কার্যকর তা পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫