ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনমজুর হত্যায় একজনের ফাঁসি, ৬ জনের কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৮

ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুলিশকে আসামি দেখিয়ে দেওয়ায় দিনমজুর রহিজ মিয়া হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসি ও ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি এই আদেশ প্রদান করেন।
এরমধ্যে উপজেলার নিমবাড়ির জমসিদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এছাড়া জমসিদ মিয়ার আরও চার ছেলে- ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া ও মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। এছাড়াও জমসিদ মিয়াসহ ৯ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। রায় প্রদানকালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জজ মিয়া পলাতক রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামের জমসেদ মিয়ার ছেলে মনিরের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় পুলিশ তাকে খুঁজছিল। পুলিশের কাছে মনিরের তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ছিল রহিজ মিয়ার বিরুদ্ধে। এরই জেরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সকালে বাজার থেকে চাচা নাবাক সর্দার ও বড় ভাই ফায়েজ মিয়াসহ বাড়িতে ফেরার পথে তাদের উপর জমসেদ মিয়ার পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এই ঘটনায় তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রহিজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদি হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় একই বছরের ২৬ অক্টোবর পুলিশ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সকল যুক্তি তর্ক ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামি জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া জমসিদ মিয়ার চার ছেলে ইয়াছিন মিয়া, খোকন মিয়া, পারভেজ মিয়া ও মনির মিয়া এবং স্থানীয় আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। মামলার প্রদান আসামি জমসিদ মিয়াসহ ৯ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।