শেরপুরে ‘বালুচর’ সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৫

বালুচর সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়িতে রিয়াদ আল ফেরদৌসের সম্পাদনায় প্রকাশিত শিল্প-সাহিত্যের ছোট কাগজ ‘বালুচর’ চতুর্থ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলা শহরের আরাইআনী ঐতিহাসিক নওজোয়ান মাঠে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে ‘বালুচর’ সাহিত্য পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক, শিক্ষক জ্যোতি পোদ্দার। শিক্ষক সজল কর্মকার ও আবৃত্তিকার রোকেয়া নাসরীন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বালুচরের সম্পাদক রিয়াদ আল ফেরদৌস।
এসময় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম মোস্তফা কামাল, লেখক জোবায়দা খাতুন, ক্রীড়াবিদ অসীম দত্ত হাবলু, আইনজীবী সুধাংশু কালোয়ার, সাংবাদিক সামেদুল ইসলাম তালুকদার, কমরেড জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, নবরূপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি জয়জিৎ দত্ত শ্যামল, কৃষিবিদ সঞ্জয় রায়, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মুসা।
মুখ্য বক্তা কবি জ্যোতি পোদ্দার ষষ্ঠ প্রাদেশিক কৃষক সম্মেলন নালিতাবাড়ির ইতিহাস তুলে ধরেন ১৯৪৩ সালে নালিতাবাড়ীর নওজোয়ান মাঠে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে নালিতাবাড়িতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ প্রাদেশিক কৃষক সম্মেলনের নানা কথকতা ও ইতিহাসের দলিল আর প্রামাণ্য সাক্ষ্যে সাজানো হয়েছে এবারের বালুচর চতুর্থ সংখ্যার আয়োজন।
কৃষক সভার জীবনে আন্দোলন ও সংগঠন সম্বন্ধে নালিতাবাড়ি সম্মেলন এক নতুন পরিস্থিতির সূচনা করে, নতুন নতুন কাজের ইঙ্গিত দেয়, কর্মী ও ভলন্টিয়ারদের মধ্যে নতুন উৎসাহ সৃষ্টি করে। পরবর্তী কালের আন্দোলন ও সংগঠনে তার সুস্পষ্ট ছাপ থেকে যায় এমন কথা লিখেছেন কমরেড আবদুল্লাহ রসুল।
জমির উপর জমিদারি মালিকানা উচ্ছেদ করে সেই জমি কৃষকের হাতে তুলে দেয়া, লাঙল যার জমি তার, কৃষককে ঋণমুক্ত করাসহ নানা দাবি নিয়েই মূলত এই কৃষক সভা গঠিত হয়। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল বর্গা প্রথার উচ্ছেদ এবং তেভাগা আন্দোলন।
বালুচরের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কলকাতার প্রগতিশীল সাপ্তাহিক সপ্তাহ পত্রিকার সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী।
আলোচকবৃন্দ নালিতাবাড়ির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের পাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও বালুচর সাহিত্য কাগজকে সাধুবাদ জানান। আড়াইআনী বাজার নওজোয়ান মাঠে এই বটতলায় একটি স্মৃতি স্মারক নির্মাণের দাবি রাখা হয় সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম খোকন, অরনি প্রগ্রেসিভ স্কুল এর প্রধান শিক্ষক নাজনিন হক মিষ্টি, বালুচরের সম্পাদনা পর্ষদের সদস্য মানিক সাহা, নারী নেত্রী কেয়া নকরেক, নাট্যজন আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহাদাত তালুকদার, পুলক রায়সহ নালিতাবাড়ীর ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।