নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট পার্ক যেন ভূতের বাড়ি

নাছরুল্লাহ আল কাফী, পিরোজপুর
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮

নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট পার্ক। ছবি: পিরোজপুর প্রতিনিধি
নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট পার্ক সংস্কারের অভাবে বিলুপ্তির পথে, যেন ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এই পার্কটি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার পানগুছি নদীর পার ঘেঁষে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছিল। নির্মাণের পর থেকে এখানে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার করত। এছাড়া চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে দিনব্যাপী অবসর সময় কাটাতেন। নদীর তীর ঘেঁষে গড়া পার্কটিতে রয়েছে সারিবদ্ধ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালির একটি অপরূপ বাগান। যা পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার ও তদারকি না থাকার কারণে বর্তমানে এটি ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদের হাতে এই পার্কের পথচলা শুরু হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে পার্কটি উদ্বোধন করেন পিরোজপুরের জেলা সাবেক প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন। পার্কটি নির্মাণে সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকায় তেমন কোনো উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। পার্কটির প্রবেশদ্বারে বাঁশ দিয়ে কারুকার্য করা গেটটি পুরাতন হয়ে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। ভেতরে প্রবেশের জন্য বাঁশের তৈরি লম্বা একটি দর্শনীয় পুল যা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এর মধ্যেও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসছেন এখানে। জানাচ্ছেন তাদের ভোগান্তির কথা। বর্তমানে পিকনিক মৌসুমে দূর-দূরান্ত থেকে এসে পিকনিক না করে ফিরে যাচ্ছেন ঘুরতে আসা পর্যটক।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এই উপজেলার একমাত্র চিত্তবিনোদন কেন্দ্র ছিল এ নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট পার্ক। যা সংস্কারের অভাবে এখন ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে এটি সংস্কার করা প্রয়োজন। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিসর্গ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সংস্কারের দায়িত্ব থাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, পার্ক নির্মাণের জন্য কোনো সরকারি বরাদ্দ না থাকায় এটি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শক্রমে খুব শিগগিরই এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, আমাদের উপজেলায় চিত্তবিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই পার্কটি সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন। সরকারিভাবে বরাদ্দের জন্য আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।