ব্ল্যাকমেইল করে মুক্তিপণ আদায় চক্রের ৪ সদস্য আটক

রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪০

মুক্তিপণ আদায় চক্রের এক সদস্য। ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থেকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা ও তার স্ত্রীসহ ৪ আসামিকে আটক করেছে র্যাব। এছাড়া ভিকটিমকেও উদ্ধার করেছেন তারা।
আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় রাজশাহী র্যাব-৫ এর অধিনায়কের কার্যালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা মহল্লার পদ্মা আবাসিক এলাকার মো. সাব্বির সুলতানের পাঁচতলা বাড়ির নিচতলা থেকে বোয়ালিয়া থানার হেতম খাঁ সবজিপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আলমগীর ওরফে রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), নামা ভদ্রার নায়েব আলীর মেয়ে দিলারা বেগম (৩৫), উপর ভদ্রার আফজাল হোসের স্ত্রী মমতাজ বেগমকে (৪২) আটক করা হয়। এসময় আলমগীর ওরফে রয়েলের কাছ থেকে ৩টি ১০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, ৫টি মোবাইল ফোন, ৪টি সিম, ৩টি চেক বই , হেলেনা খাতুনের ২টি পাসপোর্ট ২ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, ৭ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টায় ভিকটিম বাড়ি থেকে কেনাকাটার জন্য রাজশাহী কোর্টস্টেশন এলাকায় আসেন। কেনাকাটার একপর্যায়ে ভিকটিম দেখতে পান তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। ভিকটিম মোবাইল ফোনটি খোঁজা-খুঁজি করার সময় তার পূর্ব পরিচিত আটক ১নং আসামি জিজ্ঞাসা করে তার কোন কিছু হারিয়েছে কিনা, ভিকটিম বলেন, তার মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন আলমগীর রয়েল দুপুর ২টার সময় তার মোবাইল ফোনটি পাইয়ে দেবে বলে একটি অটোতে উঠিয়ে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা এলাকায় নিয়ে যান এবং সেখানে আটক অন্য তিনজনকে দেখতে পান। পরে আলমগীর ভিকটিমকে অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের সময় অন্য তিন আসামির সহযোগিতায় গোপনে ভিডিও ধারণ করা হয়। ধর্ষণ ও ভিডিও করা শেষে ভিকটিমকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার ভয় দেখিয়ে জোর করে ৩টি ১০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আটকে রাখেন।
আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক আলমগীর রয়েল ভিকটিমের মোবাইল ফোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও করে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার আশায় মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দাবি করেন।