শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

অভিযুক্ত এস.এম সাজ্জাদুল হক সবুজ। ছবি: নেত্রকোণা প্রতিনিধি
নেত্রকোণা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেহাবি) গাড়িচালক পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অভিযুক্ত এস.এম সাজ্জাদুল হক সবুজ (৫৫) নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মামলার বাদী আল আমিন (২৬) নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বিক্রমশ্রী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইন এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সাজ্জাদুল ও আল আমিন পূর্ব পরিচিত। সাজ্জাদুলের কথামতো নেত্রকোণা শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (শেহাবিতে) গাড়িচালক পদে আবেদন করেন আল আমিন। পরে গত বছরের শুরুতে চাকরি পাইয়ে দিতে বিভিন্ন জায়গায় উভয়ই মধ্যস্থতায় ঘুষ বাবদ ৫ লাখ টাকা নেন সাজ্জাদুল হক সবুজ। কিন্তু চাকরি না হওয়ায় শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি। পরে গত ২৭ ডিসেম্বর থানায় অভিযোগ দেন আল আমিন। থানা পুলিশ আল আমিনকে এ বিষয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসাইনের আদালতে মামলা দায়ের করেন আল আমিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এদিনই এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জরি করেন।
মামলার বাদী আল আমিন জানান, ‘সাজ্জাদুল হককে এলাকার অনেকের সামনে টাকা দিয়েছি। চাকরি না হলে টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন। এখন চাকরিও হয়নি, টাকাও দিচ্ছেন না। থানায় অভিযোগ দেওয়ায় উল্টো আমার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলছেন। শেষে আদালতে মামলা করেছি। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এ নিয়ে অভিযুক্ত এস.এম সাজ্জাদুল হক সবুজের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ডিসেম্বরে বিভাগীয় মামলা হওয়ার পর আর সাজ্জাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। অসুস্থতা জনিত কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটির আবেদন পাঠিয়ে কোথায় জানি চলে গেছেন। যদিও তার ছুটি মঞ্জুর হয়নি। তার মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, দুইদিন আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছেছে। শুনেছি বেশকিছু দিন ধরে এলাকাছাড়া সাজ্জাদুল হক সবুজ। তবে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। অবস্থান শনাক্ত হলেই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে।