শেরপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ.লীগ-বিএনপি সমঝোতা

শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৭

শেরপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের বার্ষিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী নেতাদের মধ্যে গোপন সমঝোতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাহী পরিষদের ১৩ পদের বিপরীতে আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের একাংশের সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি ব্যতীত সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ পদে এবং বিএনপি ও সমমনাদের সমর্থিত প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক ব্যতীত সভাপতিসহ ১১ পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে ওই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
অবশ্য আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের আরো একটি অংশ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। সব মিলে আংশিক ৩ প্যানেল থেকে ২৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি অনুসারী অংশের সভাপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক পদে নুরুল ইসলাম তালুকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে এম চান মিয়া সরকার ও সদস্য পদে লক্ষী রাণী সরকার, বর্তমান এমপি অনুসারী অংশের সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল মানসুর স্বপন, সহ-সভাপতি পদে হরিদাস সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আকরামুজ্জামান আকরাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. আশরাফুজ্জামান আশরাফ, অডিটর পদে রেকামুল ইসলাম সাজু, সদস্য পদে আব্দুল্লাহ আল কায়সার মারুফ ও মনিরুজ্জামান মুক্তা এবং বিএনপি সমর্থিত সভাপতি পদে এমকে মুরাদুজ্জামান, সহ-সভাপতি পদে মো. আশরাফুল আলম লিচু ও ছামিউল ইসলাম আতাহার, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ ফরহাদ আলী ও মোক্তারুজ্জামান মুক্তা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আশরাফুন্নাহার, সাহিত্য ও পাঠাগার পদে মো. রেজুয়ান উল্লাহ, অডিটর পদে হারুন অর রশিদ বাচ্চু, সদস্য পদে আসিফ জামান, মো. আক্তারুজ্জামান, আব্দুর রব আল-আমিন খোকন ও লুৎফর রহমান শাওন।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের পর সম্প্রতি তার অনুসারী আইনজীবী নেতাদের উদ্যোগে পরাজিত নৌকার প্রার্থীর অনুসারী আইনজীবীদের বাদ রেখে সমিতির বাইরে এক সভা করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কমিটি থাকা সত্যেও আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেইসাথে তারা একতরফাভাবে নতুন করে পিপি, জিপি, স্পেশাল পিপিসহ আইন কর্মকর্তাদের তালিকা করে তা অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
অন্যদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে সামনে রেখে একইভাবে তারা মূলধারাকে বাদ রেখে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে প্রার্থী চূড়ান্ত করে। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে বঞ্চিত আইনজীবী নেতাদের উদ্যোগে পৃথক সভা করে তারাও সমঝোতার সুযোগ রেখে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ঘোষণা করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন সমঝোতা না হওয়ায় আওয়ামী লীগের ২ অংশের আংশিক প্যানেল দাখিল হয়। এতে এমপি অনুসারীরা সভাপতি প্রার্থী একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌসীকে বাদ রাখেন এবং বিএনপি অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এএইচএম নূরে আলম হীরাকে বাদ রাখেন। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে গোপন সমঝোতার গুঞ্জন। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সাবেক এমপি অনুসারীদের কুপোকাত করতেই ওই গোপন সমঝোতা হয়েছে।