
স্থানীয় একটি মাটি খেকো চক্র অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি বাণিজ্য করে আসছে। ছবি: প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় ফসলি জমির মাটি বাণিজ্য করছে একটি চক্র। ভেকু দিয়ে রাতভর মাটি কেটে এসব মাটি মহাসড়ক ব্যবহার করে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের জোকার চকে (ভট্ট বাড়ি মৌজায়) স্থানীয় একটি মাটি খেকো চক্র অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি বাণিজ্য করে আসছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে মাটি বহনের রাস্তা বানানো হয়েছে। এতে সরকারি খালের উপরে বালু-মাটি ও ইটের খোয়া ফেলে জোকার চক থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত ট্রাক চলাচলের জন্য সংযোগ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এসব মাটি মহাসড়ক হয়ে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী কৃষক দুদু মিয়া বলেন, মাটি পরিবহনের জন্য রাস্তা তৈরি করা হয়েছে ফসলি জমির উপর দিয়ে। এতে আমার প্রায় আড়াই বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। আমি সরকারের কাছে মাটিকাটা বন্ধ ও এর বিচার চাই।
পার্শ্ববর্তী জমির মালিক লিলি বেগম বলেন, আমাদের নিষেধ সত্বেও তারা ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। খাড়া ও সরুভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটায় আমার জমির পানি সব বের হয়ে যাচ্ছে। এভাবে খেতের সব পানি বের হয়ে গেলে আমার জমির ধান নষ্ট হয়ে যাবে। পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি থেকে এভাবে মাটি কাটলে আমার জমিতেও ভাঙন শুরু হবে। আস্তে আস্তে সব জমিই ভূমি খেকোদের দখলে চলে যাবে।
ভূপেন ব্যাপারী বলেন, আমি অন্যের ক্ষেত বর্গা চাষ করি। আমার চাষ করা শরিষা খেতের উপর দিয়ে মাটিবাহী ট্রাক চলাচলের রাস্তা বানিয়েছে। আমার কাছে শোনার দরকারও তারা মনে করে নাই।
এ বিষয়ে জোকা গ্রামের রানা বলেন ওগুলো কোম্পানির জমি আমি দেখাশোনা করি মাত্র। মাটি কাটে মানিকগঞ্জের বাশার ও তপু।
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশারের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।
বানিয়াজুরি এলাকার তপু বলেন ব্যস্ত আছি, আমার অফিসে আইসেন কথা বলবো।
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে মাটি বাণিজ্য যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।