
পারিবারিক কবরস্থানে কবর খোঁড়া হচ্ছে। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেরার কথা ছিল সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারের। মা অপেক্ষায় ছিলেন তাদের বাড়িতে আসার। বাজারও করা হয়েছিল। কাউসার বাড়ি ফিরছেন ঠিকই, তবে লাশ হয়ে। স্ত্রী, তিন সন্তানও লাশ হয়ে তার সঙ্গী হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে ৫ মরদেহ নিয়ে রওনা হয়েছেন স্বজনরা। বাড়িতে চলছে সৎকারের প্রস্তুতি। বাড়ির সামনে সারি করে রাখা হয়েছে ৫টি খাটিয়া। পারিবারিক কবরস্থানেও এক সারিতে ৫টি কবর করা হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা গেছেন তাদের সবাই। তার চাচাতো ভাই সৈয়দ আবুল ফারাহ তুহিন জানান, আজ বাড়িতে এসে সোমবার পর্যন্ত এখানে থাকার কথা ছিল। রবিবার সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে উপজেলায় যাওয়ার কথা ছিল তার। বৃহস্পতিবার রাতে কাউসার ও তার পরিবারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হন তারা।
মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে শুধু কাউসারের পরিবার বা স্বজন নয়, গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে শোক। এক মাস আগে ইতালি থেকে দেশে ফেরেন শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে সৈয়দ কাউসার। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যান। সেখানে অগ্নদগ্ধ হয়ে, সৈয়দ কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), মেয়ে সৈয়দ কাশফিয়া (১৭), সৈয়দা নূর (১৩) ও ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৭) নিহত হন। তারা রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় বসবাস করতেন।
এরআগে গত সপ্তাহে বাড়িতে এসেছিলেন কাউসার। আজ এসে একেবারে বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়া কথা ছিল। ১০ মার্চ ফিরে যেতেন ইতালি।