মাদ্রাসার ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

সুধারাম মডেল থানা। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর শিল্পকলা একাডেমী এলাকার দারুল আজহার মডেল মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (১০) বলৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইলিয়াছ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের হাজী মুরশিদের রহমানের ছেলে।
আজ সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।
গতকাল রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে এই ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত ৬ মার্চ বিকেলে মাদ্রাসার ওই শিক্ষকের রুমে বলৎকারের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ভুক্তভুগী দারুল আজহার মডেল মাদ্রাসার ছাত্র। গত এক মাস ধরে মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভুক্তভুগীকে বিভিন্ন অযুহাতে বিভিন্ন সময় নিজের রুমে ডেকে একাধিকবার বলৎকার করেন এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মারধরের হুমকি দেন। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ বিকেলে ইলিয়াছ ভুক্তভুগীকে তার রুমে ডেকে নিয়ে বলৎকার করেন। এতে শিশুটির পায়ুপথে রক্তক্ষরণ দেখা দিলে ব্যাথার সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি মুঠোফোনে তার মাকে অবহিত করেন। পরে ভুক্তভুগীর মা মাদ্রাসায় গিয়ে ঘটনাটির বিচার চাইলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি কোনো বিচার না করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে তার কাছ থেকে একটি মুচলেখা নিয়ে তাকে মাদ্রাসা ছেড়ে যেতে সহযোগিতা করেন। মুচলেখায় ওই শিক্ষক ভুক্তভুগীসহ আরো একাধিক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকার করেন।
দারুল আজহার মডেল মাদ্রাসার পরিচালক আবু সালমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা ওই শিক্ষকের পরিবারকে ডেকে তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে তিনি বলৎকার ছাড়া ওই ছাত্রের সঙ্গে অন্যান্য খারাপ আচরণের কথা স্বীকার করেন এবং মুচলেখায় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেন। তার বিরুদ্ধে যেকোনো আইনি প্রক্রিয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামি গা ডাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।