
ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। ছবি: শেরপুর প্রতিনিধি
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে সারা দেশের ন্যায় শেরপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বইমেলা।
মেলা গত বছর শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত মাঠে ব্যাপক জাকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হলেও এবার দায়সারাভাবে জেলা শিল্পকলা একাডেমী ভবনের একটি কক্ষে ইনডোরে করা হচ্ছে।
কিন্তু প্রতিবছর এই মেলা শুরুর আগে স্থানীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান, প্রেসক্লাব এবং কবি সাহিত্যিকদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করে পরিকল্পনা করা হলেও এবার কাউকেই কিছু জানানো হয়নি। শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনকে অবগতি করে গত ১৭ মার্চ মেলা উদ্বোধন করেছেন। মেলা চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। ফলে মেলায় এবার দর্শক সমাগম নেই বললেই চলে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকলেও জেলার কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক এবং সচেতন মহলের পাঠকদের কোন উপস্থিতি নেই। হাতেগোনা দুই চারজন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মেলায় এসে ঘুরে যাচ্ছেন।
আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতেই দেশব্যাপী এই বইমেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরে গত ১৭ মার্চ থেকে মেলা উদ্বোধন করা হয়। মেলায় মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের বরেণ্য লেখকদের প্রায় আট হাজার বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে এই মেলার বিষয়ে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান সাজ্জাদুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, বিষয়টি আমিও অবগত নই, তবে ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি।
এ বিষয়ে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির রফিকুল ইসলাম আধারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তার জানা নেই।
এদিকে শেরপুরের অন্যতম কবি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গাঙচিল সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও জানান, এবার আমরা ভ্রাম্যমাণ বইমেলার বিষয়টি জানি না। জানলে আমরাও বই কিনতে এবং মেলা প্রাঙ্গণে কবি সাহিত্যিকদের সাথে আড্ডা দিতে পারতাম।
দায়সারা বই মেলার বিষয়ে মেলার ইনচার্জ দেবজ্যোতি মন্ডল জানান, আমাদের ভ্রাম্যমাণ মেলাটি সারাদেশেই পর্যায়ক্রমে হচ্ছে। শেরপুরের পরে ২২ তারিখ থেকে জামালপুরে আয়োজন করা হচ্ছে। ফলে এই ব্যস্ততার কারণে এবং আমাদের লাইব্রেরিয়ান অসুস্থ থাকায় কোন মিডিয়া বা কবি সাহিত্যিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে এবং শহরে মাইকিং করা হয়েছে।