পুঠিয়ায় সার না থাকায় বিসিআইসি ডিলারের কর্মচারীকে মারধর

পুঠিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

হামলায় আহত এক কর্মচারী। ছবি: পুঠিয়া প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় চারআনি রাজবাড়ী বাজারে সার না থাকায় বিসিআইসি ডিলারের দোকানে ঢুকে কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পুঠিয়া সদরের চারআনী বাজারে মোল্লা ট্রেডার্সে নামের সারের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক ও মামুন বারইপাড়া খাঁপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান চিকুর ছেলে ও আইন মন্ত্রণালয়ের (লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ) সিনিয়র সহকারী সচিব (ড্রাফটিং) আরিফুল ইসলাম আরিফের ভাই।
মোল্লা ট্রেডার্সের মালিক ইসাহক আলী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি সুনামের সাথে সার ব্যবসা করি। আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং সচিব আরিফ মাঝেমধ্যেই ফোন করে ভয় ভীতি দেখিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার আমার কাছ থেকে ক্রয় করতেন। লোক মুখে শুনেছি সেই সার নিয়ে গিয়ে তার ভাই ফারুকের দোকানে বিক্রি করতেন তারা। তার ভাই ফারুকের কীটনাশকের লাইসেন্স রয়েছে কিন্তু স্যার বিক্রির লাইসেন্স নেই। সার বিক্রির লাইসেন্স না থাকলেও সচিবের দাপট দেখিয়ে সার বিক্রি করতেন ফারুক। মাঝেমধ্যেই আমার দোকানে এসে তারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সার নিয়ে যেতেন। আমি সার দিতে রাজি না হলে আমার লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিতেন তারা।
তিনি বলেন, অন্যদিনের ন্যায় আজকেও সার ক্রয় করতে আসেন ফারুক। আমার দোকানে সার না থাকায় আমি তাকে সার দিতে পারিনি। তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমিসহ দোকানের কর্মচারীদের গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকেন। দোকান থেকে চলে যেতে বললে ফারুক ফোন করে ছোট ভাই মামুনকে ডেকে আনেন। মামুন দলবলসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোকানে ঢুকে মারপিট শুরু করে দেন। একপর্যায়ে ইট দিয়ে আমার দোকানের কর্মচারী মোজাহার মোল্লার নাকের ওপর আঘাত করেন মামুন। এতে কর্মচারীর নাক ফেটে আহত হন। দোকানটি থানার পাশে হওয়ায় খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুঠিয়া থানা পুলিশ উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দলবল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। কর্মচারী মোজাহারকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।