-২১-65fc394af21ed.jpg)
বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভারতে ফেরত পাঠায়। ছবি: চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
মোবাইল ফোনে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দীপের এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে তিনি তার মা কাজলী দাসকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে যশোর বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন। তারপর তাদের ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে।
এরপর সাজা শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের শূন্য রেখায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভারতে ফেরত পাঠায়।
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ এসআই আতিকুর রহমান জানান, ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দালাল চক্রের মাধ্যমে যশোরের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপে গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখে বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের সদস্যরা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। মহেশপুর থানা পুলিশ তাদের আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলার ফুলতলী থানার মথুরানগর কলোনি লস্করপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎস্যজীবী। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো একদিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল ৪ মাস ২১ দিন। কারাভোগ শেষে চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় মা ও ছেলেকে।
এসময় দুই দেশের বিজিবি-বিএসএফ এবং ইমিগ্রশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।