
প্রতীকী ছবি
ঢাকার সাভারে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমজাদ হোসেন (২৮) নামে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি, মামুন নামে এক ব্যক্তি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার সোবহানবাগ এলাকায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আমজাদ হোসেন ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের নান্নার এলাকার বাসিন্দা। স্ত্রীসহ সাভার পৌরসভার নবীন মার্কেট এলাকায় খোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থেকে সাভার সিটি সেন্টারের সামনে ফুটপাতে মৌসুমি পণ্যের ব্যবসা করতেন তিনি।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার ডা. সাইদুজ্জামান নোবেল বলেন, তাকে আমরা মৃত অবস্থায় গ্রহণ করি। তার দুই পায়ের রানের ওপরের অংশ দুটি, অণ্ডকোষ ও কিডনিতে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
নিহতের শাশুড়ি সুরাইয়া বেগম বলেন, মামুনের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের পরিচয় ছিল। তারা বিভিন্ন সময় একত্রে মাদক গ্রহণ করতেন। মাদক নেওয়ার সময় গত বছর রমজান মাসে আমজাদ ও মামুনসহ আরো কয়েকজন পুলিশের হাতে আটক হন। অনেকে ছাড় পেলেও তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরবর্তীতে তারা জামিনে ছাড়া পায়। এরপর থেকেই তিনি ফুটপাতে দোকান করতেন। গত নির্বাচনের পর থেকে ফুটপাতের দোকান বন্ধ হলে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। অর্থাভাবে গত দুই দিন ধরে আমরা ইফতারও করতে পারিনি।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমজাদ তার পরিচিত মামুনকে জানিয়ে টাকা ধার চান। মামুন টাকা ধার দিতে চেয়ে বুধবার বিকেলে তাকে ডেকে নেন। এরপর থেকে তিনি আর বাসায় ফেরেনি। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার কিছু আগে মামুন ফোন করে তার আমার মেয়েকে (সেলিনা আক্তার খুকু) জানায়, আমজাদ কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আমাদের কাছে কোনো টাকা নাই জানালে সেই আমাদের একটি রিকশা নিয়ে তালবাগ আসতে বলেন। তারপর আবার রেডিও কলোনি যেতে বলেন। সেখানে গেলে সে আমাদের ৪০০ টাকা দেন। সেই টাকা নিয়েই হাসপাতালে এসেছি।
এসময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, হাসপাতালে এসে শুনি মামুনই আমজাদকে ছুরিকাঘাত করেছে।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার গায়ে ছুরিকাঘাতের তিনটি দাগ রয়েছে।