
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাগেরহাটের কচুয়ায় হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ারের উদ্যোগে টেলি মেডিসিন সেবা ও ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম চালু করা হয়েছে।
এছাড়া বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে করোনা উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করেছে। এই স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকার মানুষের খোজ খবর নিবেন এবং করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন।
এছাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৩টি ওয়ার্ডে অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর পাশাপাশি সচেতনতা মূলক প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমান এসব কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় ক্লিনিকের চেয়ারম্যান সাবেক উপসচিব স্বপন কুমার মন্ডল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিদ দেবনাথ, কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুরুল আলম, কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান, ক্লিনিকের পরিচালক শিকদার মইনুল ইসলামসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক উপসচিব ক্লিনিকের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার মন্ডল বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতনতা তৈরি, লিফলেট বিতরণ করছি। অসহায় ও দরিদ্র দের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের প্রয়োজনীয় ঔষধ ও অন্যান্য জিনিস পত্র পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। রোগীদের জরুরি পরিবহনের ব্যবস্থা করা এবং ক্ষেত্রবিশেষ হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও আমাদের ক্লিনিকের পক্ষ থেকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি স্বাস্থ্যশিক্ষা, পুষ্টি, নিরাপদখাদ্য সরবরাহ, শরীরচর্চা, নৈতিকশিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রত্যেক সপ্তাহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়।
হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ারের টেলিমেডিসিন সেবা ও ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের সেবা পাওয়ার ফোন নম্বর ০১৭১৩-২২৭৪১৬,০১৭১৩-২২৭৪১৭।
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ২০ জন উদ্যোক্তা নিজ অর্থায়নে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে নিজস্ব জমিতে হাজেরা খাতুন হেলথ কেয়ার লিমিটেড নামের বেসরকারি এই স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে প্রতিমাসে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকার মানুষদের করোনা মুক্ত রাখতে নিজেদের কার্যক্রম আরো বিস্তার করছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা।