কিশোরী নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫১

ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার পল্লীতে বিয়ে বাড়িতে নৃত্য পরিবেশন শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক কিশোরী নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামে উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরে এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর ও কাহালপুর গ্রামে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নৃত্যশিল্পীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, বাগেরহাটের ১৯ বছর বয়সী নৃত্যশিল্পী বর্তমানে জেলার ফকিরহাট উপজেলা সদরে স্বামী জাহিদ মোল্লা ও দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে বসবাস করেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই নৃত্যশিল্পী ফকিরহাট থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে অভিযুক্ত হৃদয়ের বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করতে মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর গ্রামে যান। নৃত্য পরিবেশন শেষে রাত ১২টার দিকে অভিযুক্তরা নৃত্যশিল্পীকে ফকিরহাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তার স্বামী ও তাকে আলাদা-আলাদা মোটরসাইকেলে তুলে রওনা দেয়। পথিমধ্যে উপজেলার ঘাটবিলা গ্রামে মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম সানার পরিত্যক্ত টিনসেড ঘরে নিয়ে ৮ জন মিলে প্রায় একঘণ্টা ধরে নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে তারা নৃত্যশিল্পী ও তার স্বামীকে মোটরসাইকেল যোগে এগিয়ে দিতে থাকলে টহল পুলিশ তাদের পথরোধ করে। এসময়ে নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি জানালে চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সকালে নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৮ জনের নামে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আরমান শেখ (১৯), রাজিব শেখ (১৯), সোহাগ (১৮), নাসির মোল্লা (১৯) ও করিমের (২২) বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার সরসপুর ও কাহালপুর গ্রামে।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নৃত্যশিল্পীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ ধর্ষককে বিকেলে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।