ঢাকার ধামরাই উপজেলা জুড়ে রয়েছে অসংখ্য ইটের ভাটা। ইটের ভাটার এক মাত্র কাঁচামাল মাটি। সিজন শেষে ভাটা মালিকরা শুরু করেছে মাটি সংগ্রহের প্রতিযোগিতা। ইটভাটার মালিকরা সরকারি আইন অমান্য করে পাকা সড়কেই মাটির স্তূপ তৈরি করছে। এতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে, ঘটছে দুর্ঘটনা।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার মালিকরা ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে এনে সড়কের পাশে মাটির স্তূপ তৈরি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। দেখা যায়, শ্রীরামপুর টু সুয়াপুর, কাওয়ালী পাড়া টু বালিয়া, কালামপুর টু কাওয়ালী পাড়া, শরিফবাগ টু ভাড়ারিয়া, ভালুম থেকে বান্নাখোলা বাজার, সুতিপাড়া থেকে নান্নার এসব আঞ্চলিক সড়কে ইট ভাটার মাটির ট্রাকের কারণে চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। শ্রীরামপুর-সুয়াপুর সড়কের বেশ কিছু জায়গায় সড়কের পাশেই দেখা যায় মাটির স্তূপ। এ সড়কের ভাটারখোলায় গড়ে উঠা এম.জে.এ ব্রিকস্ নামের ইটভাটার জন্য মাটির স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। সড়কে ট্রাক দাড় করিয়ে মাটি আনলোড করার কারণে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্তূপ থেকে মাটি সড়কের ওপর এসে পড়ছে, বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিণত হচ্ছে। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা।

সিএনজি অটোরিকশা চালকরা জানান, বৃষ্টি হলে রাস্তা কাদার পরিণত হয়। আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি, যাত্রীরাও আতঙ্কে থাকেন কখন যেন দুর্ঘটনা ঘটে।

পথচারীরা বলেন, সড়কের পাশে ইটভাটার মাটি রাখায় বৃষ্টির সময় কাদায় রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়া পায়ে হেটে চলতেও অনেক সমস্যা হয়।

এলাকাবাসী জানান, চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ অনেক রাজনীতিবিদরা রয়েছে এ ব্যবসা সাথে জরিত। আবার কেউ বড় বড় নেতাদের পরিচয় দিয়ে  এই ব্যবসা করছেন। তাদের বিরোধে প্রতিবাদ করলে মামলা-হামলার হুমকির শিকার হতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে রাস্তার এ অবস্থা তৈরি হচ্ছে।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে গেলে তারা আগামী ৩ দিনের মধ্যে সরিয়ে নেবে মর্মে মুচলেকা সম্পাদন করেন। না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।