
মাতারবাড়ী সমুদসৈকতে পর্যটকের ঢল। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর ও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন সমুদসৈকতে স্থানীয় ও পর্যটকের ঢল নেমেছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের পরে মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা সমুদ্রসৈকত হতে পারে জেলার আরেকটি নতুন পর্যটন জোন; এমনটি মনে করেন এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি। ছুটির দিনগুলোতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাতারবাড়ী সাগর পয়েন্ট হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে।
মূলত ঈদের ছুটিতে গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে আসা লোকজন মাতারবাড়ী সমুদ্রসৈকত এলাকা দর্শনে যান। এই উপজেলায় অন্য কোনো পর্যটনকেন্দ্র না থাকায় ভ্রমণের জন্য মাতারবাড়ী সৈকতপাড় বেছে নিয়েছেন ভ্রমণপিপাসুরা। এ ছাড়া অনেকে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দেখতেও মাতারবাড়ীতে সমাগত হয়েছেন।
মাতারবাড়ী সমুদ্র এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের ঝাউবাগান ও বালুচরে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় পর্যটক অবস্থান করছেন। সৈকতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের পানিতে ভিজে উল্লাসে মেতেছেন তারা। সৈকতের দীর্ঘ এলাকা ঘুরে দেখছেন অনেকে। কেউ কেউ ঝাউবাগানে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
সৈকত এলাকা দর্শনে আসা স্থানীয় বাসিন্দা এসএম রানা বলেন, মাতারবাড়ী সমুদ্র এলাকা দেখতে হুবহু কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতোই। মাতারবাড়ী সমুদ্রসৈকত এলাকা নিয়ে যদি সঠিক পরিকল্পনায় কাজ করা হয়, তাহলে এটি হবে জেলার নতুন আরেকটি পর্যটনকেন্দ্র।
মাতারবাড়ী সৈকত এলাকা দেখতে আসা কালারমারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদে অফিস থেকে ছুটি পাওয়ায় বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিলাম। মাতারবাড়ী সৈকত অনেকটা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতোই দেখতে। শুধু অনুপস্থিত রয়েছে কিটকট চেয়ার, বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়া। এসব আনা হলে কক্সবাজার ও পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের মতোই দেখতে হবে এ মাতারবাড়ী সমুদ্র এলাকা।
মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, অদূর ভবিষ্যতে মাতারবাড়ী-ধলঘাটার বিস্তীর্ণ সমুদ্রসৈকত হতে পারে জেলার আরেকটি নতুন পর্যটনকেন্দ্র। এতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের উপর পর্যটকদের অনেকটা চাপ কমতে পারে। ভবিষ্যতে মাতারবাড়ীর এই সমুদ্রসৈকত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন যোগাযোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ব্যাপক প্রচার।