১০ বছরের রেকর্ড ভেঙে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০
-29-662f82cf6fbcb.jpg)
চলমান দাবদাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক, দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষ। ছবি- সাম্প্রতিক দেশকাল
দশ বছরের রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গায় আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ২০০৫ সালের ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০১২ সালের ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা প্রায় এক মাস ধরে এ জেলায় অব্যহত রয়েছে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
চলমান দাবদাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক, দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষ। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে প্রচণ্ড রোদে তাদের কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আজ দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ, এদিন সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৯ শতাংশ।
তিনি জানান, আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরই মধ্যে বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।
জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের ভ্যান চালক আবুল কাশেম বলেন, ভ্যান চালানোর সময় গায়ের চামড়া পুড়ে যাওয়ার মত হয়। গরমে এত কষ্ট সহ্য হয় না। কিন্তু পেট তো মানে না। সে কারণে কাজে বের হতেই হয়।
একই গ্রামের কৃষক জলিল বলেন, এত রোদ গরমে মাঠে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে ইচ্ছা হয় না। কিন্তু কৃষি কাজের জন্য মাঠে যেতেই হয়। আল্লাহ যে এ গরম থেকে কবে রেহাই দেবে।
আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের রিকশাচালক মিনারুল হক বলেন, বাড়ির সদস্যদের খাবার জোগাড় করতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই গরমে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।
জীবননগর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে ইজিবাইক চালক মমিন বসে ছিলেন। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ বাড়ি থেকে বাইরে বের না হওয়ার কারণে ভাড়া হচ্ছে না।