সড়ক নিম্নমানের বিটুমিন: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে দুদকের অভিযান

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১৬:০১

মহাসড়কে দুদকের অভিযান। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (৮ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের ফলে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে পিচ-পাথর জমাট বেঁধে উঁচু ঢিবি হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ হতে আজ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। সরেজমিন পরিদর্শন এবং এলাকাবাসীর বক্তব্য পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। রাস্তার নমুনার ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট প্রাপ্তিসাপেক্ষে অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সেখানে সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহের সহকারী মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম পরিদর্শন করেন। ক্যামেরায় কথা না বললেও তিনি জানান, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত সকল উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাব টেস্টের জন্য ঢাকায় স্যাম্পলগুলো পাঠানো হবে। সেখানে অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সাথে রাস্তা নির্মাণে মাপ-এ কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে।
ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন সড়কের ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ অংশের নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাখাওয়াত বেগ জানান, সড়কটি রোড এন্ড হাইওয়ের। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সড়ক সংস্কার শুরু করেছে।
তবে এর আগে দুদকের টিম সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিসে হানা দেয়। তবে জেলার দুইটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাই সেখানে কোন কর্মকর্তাদের পাননি বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত-সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, প্রায় ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরে শুরু হওয়ায় এই সংস্কার প্রকল্প শেষ হয়েছে গত ১০ এপ্রিল। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড-জেভি হাসান টেকনোলজি বিল্ডার্স নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজের দ্বায়িত্ব পায়। আর কাজ বাস্তবায়ন করেন ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান মাসুম নামের এক ঠিকাদার।