
গরমে পোশাক হতে হবে আরামদায়ক। ছবি: সংগৃহীত
গরম সবার জন্যই অস্বস্তিকর। আর তা শিশুদের জন্য আরও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। কারণ এ সময়ে শিশুদের প্রচুর ঘাম হয়। এর থেকে সর্দি, কাশি, ঠান্ডাসহ বিভিন্ন অসুস্থতাও হতে পারে। রোদ, ঘাম, ধুলাবালিতে নাজেহাল হতে হয় বাসার শিশুদেরকেও। তাই গরমে শিশুর পোশাক হতে হবে আরামদায়ক। সুতি ও খোলামেলা পোশাকে শিশু যেমন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে তেমনি সুস্থ থাকতেও সহযোগিতা করবে। গরমে শিশুর পোশাক নির্বাচন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন শপিংমলে তো বটেই ফ্যাশন হাউসগুলোও গ্রীষ্মকাল উপযোগী শিশুদের পোশাক এনেছে বাজারে।
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা গেল, শিশুদের জন্য এখানে রয়েছে নানা ধরনের পোশাক। মেয়েদের জন্য আছে ছোট ও বড় ফ্রক, স্কার্ট, ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ, ঘাগরা কামিজসহ আরও অনেক পোশাক। ছেলেদের জন্য রয়েছে শার্ট-প্যান্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট। পোশাকের ম্যাটেরিয়ালের ক্ষেত্রে আরামদায়ক সুতি কাপড়ই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কটন, লিনেন, ডেনিম ও গেঞ্জি কাপড়ের ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়েছে শিশুদের আরামের কথা মাথায় রেখে।
প্রিন্টের ক্ষেত্রে দেখা গেছে বৈচিত্র্য। কোনটা ছোট বল, কোনটা বড় বল, ফুল, জ্যামিতিক নকশা, তারা, ত্রিভুজ, স্ট্রাইপ, চেক অসংখ্য নকশার প্যাটার্ন দেখা যায় কাপড়গুলোতে। কখনো একরঙা, কখনো কন্ট্রাস্ট, কখনো আবার মাল্টিকালার ব্যবহার করে পোশাকগুলোর ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে। যেহেতু ছোটদের পোশাক, তাই বেশিরভাগ পোশাকেই উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি হালকা রঙও দেখা যাবে অনেক পোশাকে। তবে গ্রীষ্মের সময়টা পোশাকের ক্ষেত্রে সাদার প্রাধান্য সব সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশিই থাকে। পাশাপাশি আছে অফহোয়াইট, গোলাপি, ফিরোজা, লেমন ও অন্য সব রঙের হালকা শেড।
গরমের দিনে শিশুর পোশাক ঢিলেঢালা হওয়া প্রয়োজন, যেন গায়ে বাতাস ঢোকে, সেই সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে শিশুরা এমন হওয়া উচিত। হাতা কাটা ছোট ফ্রক, স্কার্ট, টপস, ফতুয়া মেয়েদের জন্য বেছে নেওয়া যায় সহজেই। ছেলেদের জন্য বেছে নিতে পারেন ফতুয়া
টি-শার্ট, থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট, হাফ প্যান্ট বা ট্রাউজার। তবে পোশাক যেন ঘামে ভিজে না থাকে সে দিকে লক্ষক্ষ রাখতে হবে। ভিজে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের পোশাক বদলে দিতে হবে।