Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

‘ছেলে ফিরে আসায় যেন প্রাণ ফিরে এসেছে’

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১৫:২০

‘ছেলে ফিরে আসায় যেন প্রাণ ফিরে এসেছে’

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক ফিরে আসায় স্বজনের মাঝে ঈদের আনন্দ।

অবশেষে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মির ৬৪ দিন পর জয় মাহমুদ তার নিজ বাড়ি নাটোরে ফিরেছেন। এতে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে ঈদের আনন্দ বইছে।

আজ বুধবার (১৫ মে) সকালে নাবিক জয় মাহমুদ নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার ১ নম্বর পাঁকা ইউনিয়নের সালাইনগর দক্ষিণপাড়া নিজ গ্রামে ফিরেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বরে এসে পৌঁছান ২৩ নাবিক।

তিনি উপজেলার একই এলাকার জিয়াউর রহমানের ও রোজিনা বেগম দম্পতির ছেলে।

জয়ের মা রোজিনা বেগম বলেন, ছেলে ফিরে আসায় যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। প্রতিটি দিন ছেলের চিন্তায় কেটেছে তার। তবুও আশায় ছিলেন তিনি। ছেলে ফিরে আশায় আনন্দে মেতেছে পুরো পরিবার। ছেলে ফিরে আশায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাহাজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জয়ের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, ছেলের জিম্মির খবর শুনে মনে হয়েছিল আর ফিরবে না আমার ছেলে। তবুও অনেক আশায় ছিলাম। আল্লাহ কাছে কত দোয়া করেছি। আল্লাহপাক আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

নাবিক জয় মাহমুদ বলেন, সোমালিয়াতে ৩৩ দিন আটক ছিলেন, আটক হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা সেই আতঙ্ক ও কষ্টে ছিলেন। দস্যুরা সবসময় তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখত। জিম্মি অবস্থায়ও তারা সেখানে রোজা পালন করছেন। সবার দোয়ায় ৩৩ দিন পর তাদের ছেড়ে দেয় দস্যুরা।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি পণ্যবাহী একটি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং ২৩ নাবিক ও ক্রুকে আটক সোমালিয়ান জলদস্যুরা।

প্রায় ১ মাস জিম্মি থাকার পর গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক মুক্ত হন। এরপর জাহাজটি পৌঁছে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে চুনাপাথর ভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সব মিলিয়ে ৬৩ দিন পর মুক্ত নাবিকরা চট্টগ্রামে ফিরেছেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫