
বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: বেনাপোল প্রতিনিধি
ছুটির ফাঁদে বেনাপোল স্থলবন্দর। ১৮, ১৯, ২০ মে ভারতের উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁতে লোকসভা নির্বাচন, ২১ মে বাংলাদেশের যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ২২ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটির কারণে বেনাপোল দিয়ে সবধরনের আমদানি রপ্তানি বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে টানা ৫ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর।
তবে এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শনিবার ও রবিবার বন্দর এবং কাস্টমসের কার্যক্রম চলবে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের প্রায় ৯০ ভাগই আসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। টানা ৫ দিনের ছুটির কারণে স্থবির হয়ে পড়বে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের কার্যক্রম। এতে করে সীমান্তের দুই পাশে পণ্যবাহী ট্রাকজট বাড়বে।
আজ শুক্রবার (১৭ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন।
তিনি জানান, শনিবার (১৮ মে) থেকে সোমবার (২০ মে) পর্যন্ত তিনদিন ভারতে লোকসভা নির্বাচন, মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশের শার্শায় উপজেলা নির্বাচন ও বুধবার (২২ মে) বৌদ্ধ পূর্ণিমার সরকারি ছুটির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে টানা ৫ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য। আগামী ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ছুটির কারণে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। তবে ভারতে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে যাত্রী যাতায়াত সীমিত করার ব্যাপারে ভারত থেকে কোন পত্র দিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, টানা ৫ দিনের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিশেষ নজরদারিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে ও রাতে বন্দর এলাকায় টহল দেবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ৫ দিনের ছুটি শেষে আগামী ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।