মাগুরা রেল লাইনের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে: রেলমন্ত্রী

মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ১৮:৫৩
বক্তব্য রাখছেন রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ জিল্লুল হাকিম। ছবি: মাগুরা প্রতিনিধি
রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, মাগুরার সম্পূর্ণ জমি কেন এখনো বুঝে নেওয়া যায়নি সেটি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। সব সমস্যা সমাধান করে আমারা যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করবো। সব জটিলতা নিরসন করে মাগুরা রেল লাইনের কাজ যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা হবে।
আজ শনিবার (১৮ মে) দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার ঠাকুরবাড়ি এলাকায় নব নির্মিতব্য রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন কালে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মাগুরায় ‘মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ১৯.৯ কিলোমিটারের ব্রডগেজ রেল পথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের’ অগ্রগতি পরিদর্শন করে রেলমন্ত্রী বলেন, মধুখালি হতে কামারখালি হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল পথ নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ যত দ্রুত শেষ করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মাগুরা অংশের জমি অধিগ্রহণের জটিলতা নিরসনে বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য এসেছি। জমি অধিগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফরিদপুর অংশে জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, প্রকল্প পরিচালক মো. আসাদুল হক, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বাবা মাশরুর রেজা কুটিল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রানা আমির ওসমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রেল যোগাযোগে পিছিয়ে থাকা দেশের একমাত্র জেলা মাগুরাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে ২০১৮ সালে ১ হাজার ২ শত দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নতুন রেল পথ নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে রয়েছে ১৯.৯০ কিলোমিটার মেইন রেল লাইন নির্মাণ, কামারখালী ও মাগুরা স্টেশন ইয়ার্ডে ৪.৯ কিলোমিটার পুল লাইন নির্মাণ, কামারখালী ও মাগুরা অংশে দুটি নতুন স্টেশন নির্মাণ, ছোট বড় ২৮টি সেতু ও কালর্ভাট নির্মাণ কাজ।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ ও করোনা প্রাদুর্ভাবসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মে মাসে। ওই বছরের ২৭ মে ভার্চুয়ালি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। মাগুরা অংশে রেল প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা জমির পরিমাণ ১০৭ একরের মতো। যার মূল্য প্রায় ১১৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অধিগ্রহণ করা এসব জমির বিপরীতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু নানা কারণে জমি বুঝে রেনয়ার এ কার্যক্রমে চলছে ধীর গতি। যেটি দ্রুত সুরাহার জন্য মন্ত্রী মাগুরায় সরেজমিন এসে জেলা প্রশাসনকে তাগিদ দিয়েছেন।