ইব্রাহিমের নেতৃত্বে চলছিলো অনলাইন জুয়া, ঘণ্টায় আয় লক্ষাধিক টাকা

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৪, ১৩:৩১

গ্রেপ্তারকৃত ইব্রাহিম খান কামরান। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
অনলাইন জুয়াড়িদের বরিশাল অঞ্চলের মুল হোতা ইব্রাহিম খান কামরানকে গ্রেপ্তার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে অনলাইন জুয়ায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম বরিশাল নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর চর কলোনির বাসিন্দা আবুল কালাম খানের ছেলে।
গতকাল রবিবার (১৯ মে) দুপুরে কোতয়ালী মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের পুলিশ কমিশনার মো. আলী আশরাফ ভূঞা।
তিনি জানান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার টিম গত ১৫-২০ দিন ধরে অনলাইন জুয়াড়ি দলের বিষয়ে তদন্ত করছিলো। যার মাধ্যমে জুয়াড়িদের একটি দলকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তাদের দলের প্রধান ইব্রাহিম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ইব্রাহিম জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ২০২১ সাল থেকে সে অনলাইনে জুয়া খেলেন এবং বরিশাল অঞ্চলের একটি গ্রুপ পরিচালনা করে। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি কয়েক কোটি টাকা জুয়ার মাধ্যমে লেনদেন করেছেন। তাকে গ্রেপ্তার করার পর ১-২ ঘণ্টার মধ্যেই দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে এসে জমার বিষয়টিও আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর ইব্রাহিমের কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইল ফোন দুইটি চেক করে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তার দলে ৭৫ জনের মতো রয়েছে। যারা সব সময় অনলাইনে জুয়া খেলেন। ইব্রাহিম একটি অ্যাপস ব্যবহার করেন। যেখানে তিনি বরিশাল অঞ্চলের পরিচালক বা ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত।
উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার টিম খুব নিবিড় তদন্ত করে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ৩০-৩৫ লাখ টাকা প্রতারণার একটি মৌখিক অভিযোগও রয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন, অনলাইনে বিভিন্ন সাইট ও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার খেলা চলে। অ্যাপসে একাধিক এজেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইন জুয়াড়িদের কাছে অনলাইনে কয়েন (পয়েন্ট) কেনা-বেচা করার অভিযোগও রয়েছে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে। আর অনলাইন জুয়া ব্যবসায় কয়েন ক্রয়-বিক্রয়ের এ কাজেই সোহেল, নূর ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৩৫-৪০ জন ইব্রাহিমকে সহায়তা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম আরিচুল হক, পুলিশ পরিদর্শকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপাস্থি ছিলেন।