নিলাম কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই সরকারি গাছ বিক্রি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪, ১৭:১৮

ঘিওর উপজেলা পরিষদের গাছ কেটে বিক্রি। ছবি: মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
সরকারি গাছ বিক্রির জন্য নিলাম কমিটি সভা আহ্বান করেছে। সে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউএনও অফিসের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুর পাড় থেকে গত সোমবার (২০ মে) আঠারোটি মেহগনি ও জামগাছ কেটে ষোলটি বিক্রি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার ইউনওর সিএ মো. আতোয়ারের নেতৃত্বে আঠারোটি গাছ কাটা হয়। এরমধ্যে ষোলটি গাছ ঘিওর পূর্ব পাড়ার বেলাল (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ী কিনে নেন। দুটি গাছ অফিসের আসবাবপত্র তৈরি করার উদ্দেশ্যে রেখে দেওয়া হয়। সরকারি গাছ বিক্রি করতে হলে উপজেলা নিলাম কমিটির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। কিন্তু এখানে নিলাম কমিটির সভা আহ্বানের আগেই গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেলাল হোসেন বলেন, উপজেলা চত্বরের পুকুর পাড় থেকে ষোলটি গাছ আমি কিনেই কেটেছি। গাছের মূল্য বাবদ ইউএনও অফিসের আতোয়ারকে নব্বই হাজার টাকা দিয়েছি।
উপজেলা নিলাম কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, গাছ বিক্রির জন্য নিলাম কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। কিন্তু নিলাম সংক্রান্ত কার্যাবলী শেষ হওয়ার পূর্বেই গাছগুলো কে বা কারা কর্তন করেছে সেটা আমার জানা নেই।
উপজেলা বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরিফুল ইসলাম বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়টি আমি জানি না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুল ইসলাম বলেন, গাছ বিক্রির বিষয়ে কোন মিটিং হয়েছে কি-না বলতে পারবো না। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি গাছ বিক্রি করতে হলে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন। সেটা ছাড়া গাছ বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সহকারী (সি,এ) আতোয়ার রহমানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে এসে স্যারের সাথে বিস্তারিত কথা বলেন।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই গাছ কাটা হয়েছে তবে সংখ্যা অত হবে না।