
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে বরিশালের জেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি (সিপিপি)।
হুশিয়ারি সংকেত বাড়ার সাথে সাথে লাল পতাকা উত্তোলনসহ নদী পাড়ের মানুষদের সচেতন করার লক্ষে মাইকিং করা হবে।
পাশাপাশি এখন থেকেই সিপিপির ও সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সাধারণ মানুষদের সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। ঝড় শুরুর আগেই সকলে যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যায় সেলক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি (সিপিপি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বরিশাল বিভাগে তাদের ৩২ হাজার ৫০০ ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৬০ জন স্বেচ্ছা সেবক রয়েছে।
৪ নম্বর সংকেত পাওয়ার সাথে সাথে সংকেত পতাকা উত্তোলন, মাইকিং দিয়ে প্রচারণা চালানো হবে। মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার লক্ষে তারা এখন থেকেই তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
এছাড়া বিভাগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস) এর দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল জেলায় ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতির পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম।
এদিকে বিভাগীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৬ হাজার ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
অপরদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসন আজ শনিবার (২৫ মে) বেলা ১১ টায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডেকেছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।